কলকাতা, 16 এপ্রিল: নতুন বছরে ঘুরে দাঁড়ানোর শপথ হঠাৎ করেই থমকে। বার পুজোর আনন্দে বাড়তি মাত্রা যোগ হত নতুন মরসুমে নতুন কোচের নাম ঘোষণায় । কিন্তু কোচ হিসাবে সের্জিও লোবেরা দলবদলের কোন খাড়িতে আটকে, সেই ছবিটা পরিষ্কার হচ্ছে না। ফলে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। বারপুজোয় লেসলি ক্লডিয়াস সরণিতে লাল-হলুদ সমর্থকদের উপস্থিতি তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করেও চোখে পড়ার মত। বার পুজোয় খারাপ সময় কেটে যাওয়ার সংকল্প করা হল নিয়ম মেনে। কিন্তু কোচ নিয়োগ এবং ফুটবলার নেওয়ার ব্যাপারে ক্লাব কর্তা এবং লগ্নিকারী, কেউ স্পষ্ট ছবি তুলে ধরতে পারছেন না। কবে সই হবে, না বিকল্প বাছতে হবে সেই উত্তরও বেসুরো।
ইস্টবেঙ্গলে এখনও সই হয়নি কোচ সের্জিও লোবেরার । ফলে আনন্দ আতিথেয়তার শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্যেও কোথাও একটা অসন্তোষের সুর। কোচ নিয়োগ কোন পথে বারংবার প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই কারণেই কি কিছুটা ক্ষুব্ধ লাল-হলুদের শীর্ষকর্তা? তাঁর গলার মেজাজ কিছুটা হলেও চড়া ? শনিবার বারপুজোর দিনে লাল-হলুদ শীর্ষকর্তা যা বলছেন তাতে তেমন ইঙ্গিতই পাওয়া যাচ্ছে। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কর্তাদের কথা মেনে লোবেরাকেই সই করানোর চেষ্টা চালিয়েছে লগ্নিকারী। চেষ্টা যে বিফলে তা বলার সময় আসেনি। এখনও চিনের ক্লাব সিচুয়ান-এর থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট পাওয়া যায়নি। তার জেরেই কোচকে সই করানো যায়নি। যদিও শোনা যাচ্ছে লোবেরা নিজে ফের ভারতীয় ক্লাবে কাজ করতে আগ্রহী।
দিন পনেরো থেকে কুড়ির মধ্যে কোচ ঘোষণা হওয়ার কথা থাকলেও সেই সময় পেরিয়ে গিয়েছে। মনে করা হয়েছিল, নববর্ষের দিনেই কোচের নাম ঘোষণা করে দেবে ক্লাব। সেই ইঙ্গিত মাঝের সময়ে জোরালো হয়েছে। বদলে লোবেরাকে কোচ হিসেবে পাওয়ার দৌড়ে ওড়িশা এফসির নাম শোনা গিয়েছে । এখান থেকে অনিশ্চয়তার সঙ্গে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। দেবব্রত সরকার বলেন, ''ওঁরা (ইমামি) আমাকে জানিয়েছিল, দিন পনেরোর মধ্যে কোচ চূড়ান্ত হয়ে যাবে। তাই আমি জানিয়েছিলাম। ওঁরা যদি বলেন 20 দিন লাগবে তবে আমি তাই বলব। যতক্ষণ কোচের সই না হচ্ছে, ততক্ষণ কিছুই বলা যাচ্ছে না।''
আরও পড়ুন: কলকাতা ময়দানের বারপুজোর কিছু কথা, কিছু সংস্কৃতি
নববর্ষের দিনে ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি আরও বলেন, ''আমরা শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালাচ্ছি। আমাদের প্রথম পছন্দ লোবেরা, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পছন্দও লোবেরাই । ওঁরা ব্যাপারটা দেখছেন । তবে আশা করছি দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে।'' একই কথা শোনা গেল দেবব্রত মুখোপাধ্যায়ের গলাতেও। তিনি বলেন, ''আমরা কথাবার্তা বলছি। আগে যে জায়গায় গোটা ব্যাপারটা ছিল, আজও সেই জায়গাতেই রয়েছে। কিছুই পরিবর্তন হয়নি। তবে আশা করছি দ্রুত সমস্ত সমস্যা মিটে যাবে।'' সমস্যা মেটার আশা করলেও স্বস্তিতে বসে থাকতে রাজি নন দেবব্রত সরকার। তিনি বলেন, ''যতক্ষণ সই না হচ্ছে ততক্ষন কিছু বলতে পারছি না।'' ফুটবলার নেওয়ার ব্যাপারটি ধাক্কা খেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও তা পাত্তা দিচ্ছে না ইস্টবেঙ্গল। এখন একটাই লক্ষ্য, কোচ নিযুক্ত করা। ইস্টবেঙ্গল ছাড়াও ময়দানে ভবানীপুর ওয়াড়ি খিদিরপুর শ্রীভূমি ক্লাবেও বারপূজো অনুষ্ঠিত হয়েছে।