কলকাতা, 6 অগস্ট: ডুরান্ড কাপে আজ খেলতে নামছে ইস্টবেঙ্গল । প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ সেনা দল । লাল হলুদ ডাগ আউটে প্রথমবার বসবেন কার্লেস কুয়াদ্রাত । দু'সপ্তাহ আগে কলকাতায় এসে দলকে নিয়ে অনুশীলন করাচ্ছেন । কলকাতা লিগে বিনো জর্জ কোচিং করালেও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে দলকে দিশা দেখাচ্ছেন স্প্যানিশ কোচ। বেঙ্গালুরু এফসির ডাগ আউটে বসে সাফল্য পাওয়ার পরে ফের তিনি ভারতীয় ক্লাব ফুটবলে । শতাব্দী প্রাচীন ইস্টবেঙ্গলের কোচের দায়িত্বে । লাল-হলুদ ব্রিগেড এখন কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে । মাঠে সেভাবে সাফল্য নেই । মাঠের বাইরেও প্রশাসনিক দিক থেকেও অস্থিরতা হয়েছে । এই অবস্থায় সমর্থকপুষ্ট দলকে ফের সাফল্যের আলোয় নিয়ে আসা বড় চ্যালেঞ্জ ।
কুয়াদ্রাত মানছেন তিনি তাঁর কোচিং জীবনের কঠিন পরীক্ষার সামনে । তবে সফল হওয়ার রাস্তা খুঁজে বের করতে কোনও শর্টকার্ট পথ নয়, তিনি সময় চাইছেন । তবে ক্লাব এবং সমর্থকরা তা দেবেন কি না তা অবশ্য সময়ই বলবে । আপাতত 'প্রফেসর' কুয়াদ্রাতে ভরসা রাখছে সমর্থকরা । লাল-হলুদ জনতা মন বুঝে স্প্যানিশ কোচও লড়াইয়ের বার্তা দিচ্ছেন । শনিবার প্রথমবার সাংবাদিকদের সামনে কার্লেস কুয়াদ্রাত । এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কী বললেন তিনি:
পুরো মরশুম জুড়ে কেমন পরিকল্পনা করেছেন ?
কুয়াদ্রাত: প্রতিটি ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে হবে । আমরা আমাদের সেরাটাই দেব । লড়াই করব । শেষ 10 বছর ধরে দল কোনও ট্রফি জেতেনি । আইএসএলেও খুবই খারাপ অবস্থা । এ বারে নতুন খেলোয়াড়রা দলে যোগ দিয়েছে । আমরা লড়াকু মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামব । প্রত্যেকটা দলই প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামবে । প্রত্যেক ম্যাচ ধরে ধরে আমরা এগোব ।
বাংলাদেশ আর্মির মত দুর্বল দলের বিরুদ্ধে খেলাটা কী কোথাও অসুবিধার সৃষ্টি করবে ?
কুয়াদ্রাত: বাংলাদেশ আর্মি ভালো দল । আমি ওদের খেলা দেখেছি । ওরা আক্রমণে উঠছিল । মোহনবাগান গোলরক্ষক কয়েকটি ভালো বল বাঁচিয়েছে তা না হলে ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম হতে পারত । তার উপর মোহনবাগান পেনাল্টি পেল । ওদের একজন লাল কার্ড দেখল । তবে বাংলাদেশকে হালকাভাবে নেওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই । আমরা যথাসম্ভব ভালো খেলার চেষ্টা করব ।
বেঙ্গালুরু এফসির কোচ পদে সাফল্য পেয়েছেন । তবে ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্ব নেওয়া কি কোচিং জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ?
কুয়াদ্রাত: বেঙ্গালুরুর মতো দলকে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন করেছি । ভালো ফলের জন্য উপযুক্ত পরিমাণ সময় দিতে হবে । সেটা আমার পরিকল্পনার একটা অংশ । আশা করি এই দলের খেলোয়াড়দের উপর সবাই আস্থা রাখবেন । তাদের নিয়ে সমর্থকরা আবার আশ্বাস হারাবেন না । আমরা পেশাদার দল । আমি এবং আমার সহকারী কোচরা সবাই মিলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাব । এটা একদিনে হবে না । দীর্ঘসময়ের মধ্যে দিয়ে সাফল্যের রাস্তা খুঁজতে হবে ।
ভারতের হয়ে সেরা স্ট্রাইকার পাওয়া যায় না । সুনীল ছেত্রীর পরে কেউ নেই সেভাবে । আইএসএলে প্রতিটি দলই বিদেশি স্ট্রাইকারই খেলায় । এই বিষয়ে কী বক্তব্য ?
কুয়াদ্রাত: এটা ঘটনা । প্রত্যেক ক্লাবই চায় নির্দিষ্ট জায়গায় সেরা খেলোয়াড়কে খেলাতে । আমি বা আমরা প্রতিটি রাউন্ড ধরে এগোতে চাই । আমি দলে যাদের এ বছর পেয়েছি তাদের নিয়ে খুশি । আশা রাখি এ বারে ফলাফল ভালোই হবে ।
কিন্তু সমর্থকরা আশা করে রয়েছেন কবে ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গল সফল হবে ৷ কোনও বিশেষ পরিকল্পনা ডার্বির ব্যাপারে ?
কুয়াদ্রাত: আমি সমর্থকদের সম্মান করি । আমরা যথাসম্ভব চেষ্টা করব । আমি দল গঠনে জোর দিচ্ছি । ডার্বির উত্তেজনা আমি বুঝি । পথে ঘাটে দেখা হলে সবাই ডার্বি নিয়ে কথা বলছেন । এটা বলতে পারি আমরা নিজেদের কাজ করে যাব । ফলাফল বদল করার চেষ্টা করব ।
সমর্থকদের প্রত্যাশার চাপ কী রয়েছে ?
কুয়াদ্রাত: আমাদের আবার শূন্য থেকে শুরু করতে হচ্ছে । দলে নতুন খেলোয়াড় এসেছে । সমর্থকরা আমাদের উপর ভরসা রাখুন । এটা একটা প্রক্রিয়া । যা সবে শুরু হয়েছে । চট করে হবে না । সময় দিতে হবে ।
ডুরান্ড কাপের আগে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে কী বার্তা দেবেন ?