লিগে প্রথম জয় পেল ইস্টবেঙ্গল কলকাতা, 17 জুলাই: অনেক দিন পরে গ্যালারিতে মশাল জ্বালালেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। সপ্তাহের প্রথমদিন নৈহাটি স্টেডিয়ামে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বিরুদ্ধে কলকাতা লিগের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। বিদেশিহীন লিগে অন্য দুই প্রধানের মতো ইস্টবেঙ্গলও রিজার্ভ দল খেলাচ্ছে। লাল-হলুদ জার্সির চাপ, অনুশীলনের অভাব সরিয়ে জয়ের সরণিতে ফেরা সহজ ছিল না। তবু প্রতিপক্ষ পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে 4-2 গোলে হারিয়ে লিগের প্রথম জয় কুড়িয়ে আনল লাল-হলুদ ব্রিগেড।
বুনন্দ সিং, সার্থক গোলুই, দীপ সাহা এবং ম্যাচের সেরা অভিষেক লাল-হলুদের এদিনের গোলদাতা। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের গোল সুব্রত বিশ্বাস, রাজীব দত্ত। ম্যাচের 17 মিনিটে বুনন্দর পা থেকে প্রথম গোল আসে ইস্টবেঙ্গলের। কুশ ছেত্রীর বাড়ানো বল ধরে বক্সের মধ্যে থেকে নেওয়া বুনেন্দোর শট জয়দীপ বিশ্বাসের পেটে গায়ে লেগে গোলে ঢোকে।
24 মিনিটে বুনেন্দকে পুলিশের ডিফেন্ডার বক্সে ফাউল করলে রেফারি পেনাল্টি দেন। তবে এই সিদ্ধান্তটি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। পেনাল্টি থেকে নেওয়া সার্থক গোলুইয়ের শট প্রথমে বিপক্ষ গোলরক্ষক আটকালেও ফিরতি শট ঠান্ডা মাথায় জালে রাখেন লাল-হলুদ ডিফেন্ডার। ম্যাচের রাশ এ সময় বিনো জর্জের ছেলেদের পায়ে তাকলেও লাল-হলুদ ডিফেন্ডার শুভেন্দু মাণ্ডি বক্সের মধ্যে অনাবশ্যক ফাউল করলে পেনাল্টি পায় পুলিশ। ব্যবধান কমান পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অধিনায়ক সুব্রত বিশ্বাস। বিরতির পর ম্যাচে সমতাও ফিরিয়ে আনে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের।
সমস্যা জটিল হতে পারে অনুমান করে নিয়াসের বদলে অভিষেক এবং লিজোর বদলে সঞ্জীবকে নামান বিনো জর্জ। জোড়া পরিবর্তনে ফের ম্য়াচের রাশ দখলে নেয় ইস্টবেঙ্গল। 69 মিনিটে বক্সের মধ্যে পুলিশের এক ফুটবলারের হাতে বল লাগলে ফের পেনাল্টি পায় লাল-হলুদ ৷ গোল করে যান দীপ সাহা। দলের চতুর্থ গোল অভিষেক কুঞ্জমের। ম্যাচের সেরাও তিনি। কোচ বিনো জর্জ বলছেন, অনেক ভুল ত্রুটি শোধরানো গিয়েছে। আরও শোধরাতে হবে। অন্যদিকে, পুলিশ কোচ সহদেব দাস জানিয়েছেন, রেফারির ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হতে হয়েছে। প্রথমটি পেনাল্টি ছিল না। ইস্টবেঙ্গলের যা অবস্থা তাতে রেফারির দাক্ষিণ্যেই জয় পেতে হবে।
আরও পড়ুন:সুহেলের হ্যাটট্রিক, ডালহৌসিকে উড়িয়ে লিগে টানা তৃতীয় জয় বাগানের