নৈহাটি, 20 জুলাই: প্রায় ন'বছর পরে কলকাতা লিগে খেলতে নেমেছিলেন শৌভিক চক্রবর্তী । ইস্টবেঙ্গলের সিনিয়র দলের ফুটবলার কলকাতা লিগে খেলতে নেমে ম্যাচের সেরার পুরস্কার ছিনিয়ে নিলেন । হায়দরাবাদ এফসি থেকে গত মরসুমে ইস্টবেঙ্গলে খেলতে এলেও প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ ময়দানের বহু যুদ্ধের সৈনিক। চোট-আঘাত-অসুস্থতায় শৌভিককে চেনা ছন্দে পাওয়া যায়নি । এই বছর শৌভিককে কার্লোস কুয়াদ্রাত কীভাবে ব্যবহার করবেন, তা জানতে সময় বলবে। তবে বিনো জর্জের দলের মাঝমাঠের দায়িত্ব নিয়ে শৌভিক বোঝালেন তিনি তৈরি। খিদিরপুরকে 2-0 গোলে হারিয়ে চলতি কলকাতা লিগে দ্বিতীয় জয় পেল ইস্টবেঙ্গল । তুহিন দাস এবং শ্যামল বেসরার গোলে টানা দ্বিতীয় জয় লাল-হলুদের।
বিনো জর্জ ডাগ-আউটে বসলেও দলের নিয়ন্ত্রক কার্লোস কুয়াদ্রাত। স্পেন থেকে নির্দেশ দেন হোয়াটসঅ্যাপে কিংবা ফোনে । সেইমতো দল সাজান এবং বদল করেন বিনো জর্জ । চোটের জন্য রিজার্ভ দলের কয়েকজন ফুটবলারকে পাওয়া যাবে না । অথচ দলের প্রয়োজনে কয়েকজন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ফুটবলার দরকার । এই অবস্থায় বিনো জর্জের অনুরোধে সম্মতি কুয়াদ্রাতের । শৌভিক চক্রবর্তী, গুরসিমরত গিল এবং তুহিন দাসকে রেখে খিদিরপুরের বিরুদ্ধে একাদশ সাজিয়েছিলেন বিনো জর্জ । তিন সংযুক্তিতে দলের বোঝাপড়া বেড়েছিল । মাঝমাঠে শৌভিককে পাশে পেয়ে দীপ সাহা ঝলমলে । রক্ষণে গুরসিমরত গিল থাকায় শুভেন্দু মাণ্ডি অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী ।
বিনো জর্জের দলের সমস্যা অনভিজ্ঞতা এবং বোঝাপড়ার অভাব । দু'টোই দূর হয় একসঙ্গে খেলার মধ্যে দিয়ে । কিশোরভারতী স্টেডিয়ামে যে লাল-হলুদ ফুটবলারদের হতশ্রী মনে হয়েছিল নৈহাটিতে তারাই অনেক বেশি গোছানো । ম্যাচ পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনে বিনো বলছেন, দলকে গোছাতে সময় দরকার । ফুটবলাররা বড় ক্লাব এবং জার্সির চাপ নিয়ে ধীরে ধীরে মানিয়ে নিচ্ছে বলেই পারফরম্যান্সের উন্নতি হচ্ছে ।