নয়া দিল্লি, 4 ফেব্রুয়ারি:অ্যান্টি-ডোপিং পরীক্ষা পদ্ধতি পরিচালনা করে 21 মাসের জন্য আইটিএ বাঙালি জিমন্যাস্টিক দীপা কর্মকারকে সাসপেন্ড করেছে (Dipa Karmakar Suspended)। জানা গিয়েছে, দীপা নিষিদ্ধ হিগেনামাইন সেবন করেছিলেন। নির্বাসন জারি হওয়ার মানে হল যে 29 বছরের দীপা আসন্ন বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতায় নামতে পারবেন না। দীপার এই নমুনা 11 অক্টোবর, 2021 সালে এক প্রতিযোগিতার বাইরে সংগ্রহ করা হয়েছিল । সেই সময় থেকেই শুরু হয়েছে সাসপেনশনের মেয়াদ। চলতি বছরের 10 জুলাই পর্যন্ত জারি থাকবে এই নিষেধাজ্ঞা।
তাহলে দেশজোড়া প্রচার, সংবর্ধনা, পুরস্কারে কি মাথা ঘুরে গিয়েছিল দীপা কর্মকারের? সেই কারণেই কি রিও অলিম্পিক্সে জিমন্যাস্টিকসে চতুর্থ হওয়ার পর থেকে আর তেমন কোনও সাফল্য পেলেন না আগরতলার এই বাঙালি জিমন্যাস্ট? নিষিদ্ধ ড্রাগ গ্রহণের অভিযোগে নির্বাসিত হয়েছেন তিনি। বয়স এখন 29 বছর। ফলে নির্বাসনের মেয়াদ কাটানোর পর ফিরে আসা খুব একটা সহজ হবে না। তাছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে কোনও বড়মাপের প্রতিযোগিতায় যোগ দিতেও দেখা যায়নি বাঙালি জিমন্যাস্টকে ।
জানা গিয়েছে, দীপা কর্মকার নিষিদ্ধ হিগেনামাইন ব্যবহার করেছিলেন (ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সি নিষিদ্ধ তালিকা অনুসারে এস থ্রি (S3).বিটা-2 অ্যাগোনিস্ট)। এবং তাঁর রিপোর্ট তাঁর পজিটিভ এসেছিল। 2021 সালের 11 অক্টোবর ফেডারেশন ইন্টারন্যাশনাল ডি জিমন্যাস্টিকের (এফআইজি) পক্ষ থেকে ইতিবাচক নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। দীপা কর্মকারই প্রথম ভারতীয় জিমন্যাস্ট, যিনি 2016 সালে রিও অলিম্পিক্সে চতুর্থ স্থান অর্জন করেছিলেন। এর পর থেকে বেশ কয়েকটি চোটের কারণে তাঁর কেরিয়ার গ্রাফটা নিম্নমুখী হয়ে যায়। গত বছর মার্চ মাসে হঠাৎ করেই তাঁর নির্বাসনের খবর সামনে আসে। সেই সময়ে কারণ জানা যায়নি।
আরও পড়ুন:'বাচ্চা মেয়েগুলোকে স্বপ্ন দেখিয়েছ তোমরাই', সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শেফালিদের বললেন মাস্টার-ব্লাস্টার
দীপাই ভারতীয় জিমন্যাস্টিক্সকে অন্য স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছিলেন। রিও-তে তিনি প্রদুনোভা ভল্ট দিয়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। সেইসঙ্গে ভারতের মুখ উজ্জ্বল করেছিলেন। তিনি এশিয়ান জিমন্যাস্টিক্স চ্যাম্পিয়নশিপেও ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন। পাশপাশি 2015 ওয়ার্ল্ড আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে পঞ্চম স্থান অর্জন করেছিলেন। এরপর 2017 সালে তাঁর ডান হাঁটুতে চোটের জন্য খেলার ধারাবাহিকতা থেকে পিছিয়ে পড়েন । 2018 সালের এশিয়ান গেমসে এই চোট বেড়ে যায়, যা দীপাকে জাকার্তায় আর্টিস্টিক টিম ফাইনাল থেকে সরে যেতে বাধ্য করে।