কলকাতা, 11 ডিসেম্বর:'ওয়াকা ওয়াকা... দিস টাইম ফর আফ্রিকা' ৷ ফুটবল বিশ্বকাপের জন্য তৈরি সর্বকালের সেরা থিম সং বাছতে বসলে পপ-স্টার শাকিরার এই গানটি অনায়াসেই জায়গা করে নেবে প্রথম তিনে ৷ 2010 দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের জন্য নির্মিত সেই থিম সং-ই 12 বছর বাদে এসে ফুটবল অনুরাগীরা গাইছেন আশরাফ হাকিমি (Achraf Hakimi), হাকিম জিয়েচদের (Hakim Ziyech) জন্য ৷ আরও ভালো করে বলতে গেলে মরক্কোর জন্য ৷ কারণ আফ্রিকার কোনও দেশ আগে যা পারেনি, শনিবার সেটাই করে দেখিয়েছে উত্তর আফ্রিকার 3 কোটি 70 লক্ষের দেশটি ৷ মহাদেশের প্রথম রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের শেষ চারে মরক্কো (Morocco became the first country of Africa to reach into WC semis) ৷
জায়ান্ট কিলার হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করে বেলজিয়াম, স্পেন, পর্তুগালকে হারিয়ে তাদের প্রতিযোগিতা থেকে ছুটি করে দিয়েছে আফ্রিকা ফুটবলের এই পাওয়ার হাউজ। একটা করে ম্যাচ যাচ্ছে আর চমকে দিচ্ছেন হাকিম জিয়েচ, ইয়াসিন বোনোরা। অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্যি যে মরক্কোর রক্ষণভাগ ভাঙতে কার্যত হিমশিম প্রতিপক্ষ। এই মরক্কো থেকে এসেই একসময় মোহনবাগানের সাফল্যের ডালি ভরিয়ে দিয়েছিলেন করিম বেঞ্চেরিফা (Karim Bencherifa) ৷ বিশ্বকাপের মঞ্চে দেশের এই সাফল্যের নেপথ্য কাহিনি শোনালেন একদা মরক্কোর অনূর্ধ্ব-23 দলের দায়িত্ব (সহকারী কোচ) সামলানো বেঞ্চেরিফা ৷ তাঁর হাত ধরেই উঠে এসেছেন উনাহি, গতকালের গোলস্কোরার এন নাসিরি, দাহি ৷ ইটিভি ভারতকে (ETV Bharat) করিম বলছেন, "এই পরিবর্তন একদিনে আসেনি। একইসঙ্গে এটাও বলব আমরা কেউ ভাবিনি এত ভাল ফুটবল খেলবে দলটা। ধীরে ধীরে উন্নতি করেছি আমরা। প্রায় এক যুগের পরিশ্রমের ফল পাচ্ছি এখন।'
সাফল্যের নেপথ্য কাহিনি শোনাতে গিয়ে যোগ করলেন, ''পরিকাঠামোর উন্নতি হয়েছে । এখন আমাদের দেশের মাঠগুলো ইউরোপের যে কোনও মাঠের সঙ্গে পাল্লা দিতে প্রস্তুত। আমি বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি, ঘুরে দেখেছি, তাই জানি ৷ একটুও বাড়িয়ে বলছি না। পাশাপাশি জাতীয় দলও ভালো পারফর্ম করে চলেছে। সেটাও একটা বড় কারণ। এছাড়াও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে কোচরা এখানে এসে কোচিং করাচ্ছেন ৷ মোদ্দা কথা আফ্রিকান ফুটবলে এখন দাপট দেখাচ্ছি আমরা । শুধু ছেলেরা নয়, মেয়েরাও ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়া অনূর্ধ্ব-17 বিশ্বকাপে দারুণ পারফর্ম করেছে।সেটা নিশ্চয়ই মনে রয়েছে।"
আরও পড়ুন:সময় চাইলেন সাউথগেট, হারের দায় কাঁধে নিয়ে অনুতপ্ত কেন