কলকাতা, 1 অগস্ট: কলকাতা লিগের জ্বর ধীরে ধীরে সংক্রমিত হচ্ছে ফুটবল মহলে। ময়দানে ফুটবল ফিরেছে । ছন্দে ফিরছে ফুটবলের মেজাজ । এরই মধ্যে ডুরান্ড কাপের ঢাকে কাঠি । ডুরান্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সংঘটিত হবে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। সোমবার থেকে ডুরান্ড কাপের টিকিট দেওয়া শুরু হয়েছে। বিনা পয়সায় খেলা দেখতে পাবেন মোহনবাগান সদস্যরা। ক্লাব তাঁদের প্রতিশ্রুতি মতো টিকিট সদস্যদের বিলি করেছে। আমজনতার জন্য টিকিট বিক্রি মোহনবাগান ক্লাব থেকে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ডুরান্ডের কোনও প্রতিনিধি মোহনবাগান ক্লাবে আসেনি। ফলে মোহনবাগান মাঠে টিকিট কিনতে আসা সমর্থকরা ক্ষোভ উগড়ে দেন।
একটি বেসরকারি সংস্থা সাধারণের টিকিট বিক্রির দায়িত্বে। তাদের অব্যবস্থায় নাকাল ফুটবল প্রেমীরা। কোথায় টিকিট, কবে থেকে পাওয়া যাবে সেটাও পরিষ্কার নয়। ফলে সমস্যায় সাধারণ দর্শকরা। এই নিয়েই তর্ক ও বাকবিতণ্ডা ফুটবল ভক্তদের মধ্যে। 3 অগস্ট শুরু হচ্ছে এবারের ডুরান্ড কাপ। প্রথম ম্যাচে যুবভারতী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে মোহনবাগান এবং বাংলাদেশের আর্মি দল। ইতিমধ্যে তার প্রস্তুতিতে বন্ধ দরজার আড়ালে প্র্যাকটিস করাচ্ছেন মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের কোচ জুয়ান ফেরান্দো।
আরও পড়ুন:সুব্রতর আত্মজীবনী প্রকাশে আরও উজ্জ্বল মোহনবাগান দিবস, ভাঙা বাংলায় সমর্থকদের শুভেচ্ছা সুনীলের
মূলত যুব দলের সঙ্গে সিনিয়র দলের কয়েকজনকে যোগ করে ডুরান্ডে নামতে চলেছে সবুজ-মেরুন। যদিও সিনিয়র দল খেলবে কি না, সে ব্যাপারে কোনও সরকারি বিবৃতি আসেনি। মোহনবাগান ক্লাবসচিব দেবাশিস দত্ত জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে প্রাধান্য পাবে এএফসি কাপ। যা 16 অগস্ট শুরু। অন্যদিকে, মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কা জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে প্রতিটি টুর্নামেন্ট গুরুত্বপূর্ণ। ডুরান্ড হোক বা এএফসি কাপ কিংবা আইএসএল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে চ্যাম্পিয়ন দেখতে চান সঞ্জীব গোয়েঙ্কা।
প্রথম ম্যাচে বল গড়ানোর আগে জমজমাট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা রয়েছে আয়োজকদের। আর সেই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও এই অনুষ্ঠানে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, চিফ অফ আর্মি স্টাফ জেনারেল মনোজ পান্ডে এবং সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল রানাপ্রতাপ কলিতা উপস্থিত থাকবেন। আয়োজকরা জানিয়েছেন, বিকাল পাঁচটা থেকে আধঘণ্টার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে। সেখানে সেনার বিভিন্ন বিভাগের সদস্যরা মার্শাল আর্ট প্রদশর্ন-সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবেন। এরপর ম্যাচের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্য অতিথিরা দুই দলের ফুটবলারদের সঙ্গে পরিচিত হবেন। সব মিলিয়ে ফুটবল মরশুম ফের পুরনো ছন্দে গড়াতে শুরু করল।
আরও পড়ুন:লাল-হলুদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ঘিরে দুই বাংলার মিলনমেলা