কলকাতা, 21 জুন: পুরানোদের উপরেই আস্থা রাখতে চাইছেন কার্লোস কুয়াদ্রাত ৷ দল গঠনে ফুটবলার বাছা থেকে নিজের কোচিং ব্রিগেড তৈরি ৷ সব বিভাগেই পুরনো পরিচিতদের ফিরিয়ে নিয়ে আসছেন ইস্টবেঙ্গলের নতুন কোচ ৷ বিশেষ করে টিম ম্যানেজমেন্টে পুরনো বন্ধুদের উপর আস্থা রাখতে চাইছেন কুয়াদ্রাত ৷
ইতিমধ্যেই দলবদলের বাজারে ঝড় তুলছে ইস্টবেঙ্গল ৷ প্রায় প্রতিদিন নতুন ফুটবলার সই করাচ্ছে ইমামি কর্তৃপক্ষ ৷ দেশি-বিদেশি মিলিয়ে মোটামুটি ভালো ফুটবলারদের সই করিয়েছে লাল-হলুদ ব্রিগেড ৷ আর সেটা করতে গিয়ে ট্রান্সফার ফি দিতেও পিছপা হচ্ছে না বিনিয়োগকারী সংস্থা ৷ শুধু ভালো ফুটবলার নিয়েই বিষয়টি শেষ হচ্ছে না ৷ তাঁদের পরিচালনার জন্য উন্নতমানের বিশেষজ্ঞ দলের প্রয়োজন ৷ আর সেই প্রয়োজনটা বুঝেই থিঙ্ক ট্যাঙ্ক তৈরি করতে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন কার্লোস কুয়াদ্রাত ৷
ইতিমধ্যেই নিজের দেশীয় ও বিদেশি সহকারী হিসেবে যথাক্রমে বিনো জর্জ এবং ডিমাস ডেলগাডোকে ইস্টবেঙ্গলে এনেছেন কুয়াদ্রাত ৷ বিনো জর্জ ইতিমধ্যে কলকাতা লিগের প্রস্তুতিতে কাজ শুরু করে দিয়েছেন ৷ নতুন ফুটবলার নেওয়ার ক্ষেত্রে দুই সহকারীর পরামর্শে আস্থা রাখছেন ইস্টবেঙ্গলের হেড কোচ ৷ দুই সহকারী বেছে নেওয়ার পরে এবার কুয়াদ্রাত গোলরক্ষক কোচ হিসেবে পুরনো সঙ্গী জাভিয়ের পিনিলোসকে নিয়ে আসছেন ৷ এর আগে বেঙ্গালুরু এফসিতে কোচিং করিয়েছেন কুয়াদ্রাত ৷ সেখানে গোলরক্ষক কোচ ও সহকারী কোচের ভূমিকায় ছিলেন জাভিয়ের পিনিলোস ৷
একটি মরশুমে দলের পারফর্ম্যান্সে বড় ভূমিকা নিয়ে থাকে ফিটনেস ৷ এই বিভাগে কুয়াদ্রাতের আস্থা সেনেন আলভারেজে ৷ 2016 রিও অলিম্পিক্সে স্পেনের হকি দলের ফিজিও হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর ৷ তিনি এর আগে কুয়াদ্রাতের অধীনে বেঙ্গালুরু এফসি-র ফিজিও হিসেবে কাজ করেছেন ৷ স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ হিসেবে ইস্টবেঙ্গলে আসতে চলেছেন মিচেল গুইয়েন ৷ এখানে বেঙ্গালুরু এফসি যোগ ৷ তিন বছর তিনি সুনীল ছেত্রীদের দায়িত্ব সামলেছিলেন ৷ কুয়াদ্রাতের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাও রয়েছে ।