কলকাতা, 13 অগাস্ট : শহর কলকাতার অফিস যাত্রী এবং পথ চলতি মানুষের খাবারের অস্থায়ী ঠিকানা ডেকার্স লেন । একইভাবে ক্রীড়াপ্রেমীদের ঠিকানা ময়দান ক্যান্টিন । মোহনবাগান, সিটি ক্লাব, কবাডি অ্যাসোসিয়েশন, মহমেডান ক্লাব, তালতলা ইনস্টিটিউট, সেন্ট্রাল এক্সারসাইজ়, CAB-র ক্যান্টিনে ভোর থেকেই শুরু হয়ে যায় প্রস্তুতি ।
ময়দানের ক্লাবগুলো খেলোয়াড়দের অনুশীলন থেকে ম্যাচ চলাকালীন খাবার জোগান এই ক্যান্টিনগুলো থেকে হয়ে থাকে । এর সঙ্গে খেলা দেখতে আসা ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ, বিকেলে ক্লাব তাঁবুতে আড্ডায় ভিড় করা মানুষজন এবং ক্লাব কর্তাদের নানা খাবারের দিনভর জোগান এরাই দিয়ে থাকে । পাঁউরুটি টোস্ট, বাটার টোস্ট, ঘুগনি, ভেজিটেবল এবং চিকেন স্টু, ফিশফ্রাই, ভেজিটেবল চপ, ডিমের ডেভিল, ফিশ চপ, চা কফি আরও কত কী ৷ উনানের আঁচ নেভে না । কিন্তু মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ময়দানের বল গড়ানো বন্ধ হয়ে গেছে । ফলে প্রথম কিছুদিন আশায় দিন গোনার পরই ক্যান্টিনের দরজা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন ময়দানের ক্যান্টিন মালিকরা । মোহনবাগান, সিটি ক্লাব এবং কবাডি অ্যাসোসিয়েশনে ক্যান্টিন চালান পলাশ মুখোপাধ্যায় । ময়দানের মানুষ অবশ্য তাঁকে এই নামে চেনে না । হুগলির মানুষটি কাজুদা নামেই পরিচিত । তিনি বলছেন, এই ধাক্কা তাঁদের পক্ষে সামলানো কঠিন । তিনটে ক্যান্টিনে মোট 24 জন কাজ করেন । তাঁদের মাইনে দিয়ে দেশে পাঠিয়েছেন । এখনও কিছু টাকা নিয়মিত পাঠাচ্ছেন । কারণ এই 24 জনকে নিজের পরিবারের সদস্য বলে মনে করেন কাজুদা । ময়দানে কবে বল গড়াবে তা কেউ জানে না ৷ তাই ক্যান্টিন ও এর কর্মীদের ভবিষ্যৎ কোন পথে তা জানেন না কাজু মুখোপাধ্যায় ।