কলকাতা, 31 মার্চ : কোরোনা আতঙ্কে এক বছরের জন্য পিছিয়ে গিয়েছে টোকিয়ো অলিম্পিক । 21 দিনের লকডাউনে বন্ধ বক্সিং অ্যাকাডেমিগুলিও । তাতে কী ? অনলাইনে অনুশীলন জারি রেখেছেন ছয়বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন মেরি কম । শুধু মেরিই নন, অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জনকারী সব বক্সাররাই বক্সিং ফেডারেশনের অনুমতি নিয়ে অনলাইনে অনুশীলন করছেন । অলিম্পিয়ানদের এই প্র্যাকটিসের রুটিনে উদ্বুদ্ধ কলকাতার বক্সাররাও । সময় নষ্ট না করে শহরের বালাজি বক্সিং অ্যাকাডেমি বক্সারদের জন্য অনলাইনে অনুশীলনের ব্যবস্থা করেছে ।
মেরি কমদের দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে অনলাইনে অনুশীলন বাংলার বক্সারদের - বক্সিং
অলিম্পিয়ানদের এই প্র্যাকটিসের রুটিনে উদ্বুদ্ধ কলকাতার বক্সাররাও । সময় নষ্ট না করে শহরের বালাজি বক্সিং অ্যাকাডেমি বক্সারদের জন্য অনলাইনে অনুশীলনের ব্যবস্থা করেছে ।
বালাজি বক্সিং অ্যাকাডেমির কোচ সঞ্জয় প্রসাদ জানিয়েছেন, মোট 85 জন বক্সার রয়েছে । তবে এতজনকে অনলাইন অনুশীলনের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি । আপাতত 15 জন বক্সারকে নিয়ে অনলাইনে অনুশীলন চলছে । কম্পিউটারের সামনে বক্সিং এর বিভিন্ন কৌশল করে দেখাচ্ছেন কোচ সঞ্জয় প্রসাদ । তা দেখে শিক্ষার্থীরা অনুশীলন করছেন । প্রতিপক্ষকে অনুমান করে ভার্চুয়াল বক্সিং ম্যাচ খেলছেন তারা । অনুশীলন না থাকলে ঘরবন্দী অবস্থায় বক্সারদের মানসিক অবস্থা তলানিতে নেমে যায়। সেই অবস্থায় যাতে না পৌঁছায় সেই কারনেই এই ব্যবস্থা, বলছেন সঞ্জয় প্রসাদ । পাশাপাশি লকডাউন পরবর্তী সময়ে প্রতিযোগিতা শুরু হলে যাতে অসুবিধায় না পড়তে হয় সেই জন্য এই উদ্যোগ ।
প্রসঙ্গত, মেরি কম(51কেজি), শিমরনজিত কউর(60কেজি), লাভলিনা বরগোহানি(69কেজি), পূজা রানি(75কেজি), অমিত পাঙ্গাল(52কেজি), মনীশ কৌশিক(63কেজি), বিকাশ কৃষ্ণাণ(69কেজি), আশিস কুমার(75কেজি), সতীশ কুমার(91কেজি)-এর মতো অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জনকারী লকডাউনের মধ্যে অনুশীলন জারি রাখতে চেয়ে বক্সিং ফেডারেশনের কাছে আবেদন করেছিলেন । ঘরবন্দী অবস্থায় শারীরিক ফিটনেস এবং মানসিক দৃঢ়তা বজায় রাখা কঠিন । মেরি কমের মত বক্সার বলছেন, বিষয়টি চ্যালেঞ্জিং । ইতিমধ্যেই তাঁরা অনুশীলন শুরু করেছেন ।