কলকাতা, 18 সেপ্টেম্বর:2-1 গোলে মুম্বই সিটি এফসিকে হারিয়ে ডুরান্ড কাপ বেঙ্গালুরু এফসি'র (Bengaluru FC Beat Mumbai City FC)। চ্যাম্পিয়ন দলের পক্ষে গোল শিবশক্তি এবং কোস্তার। মুম্বই সিটি এফসির গোল আপুইয়ার। আইএসএলের দুই পাওয়ার হাউজের দ্বৈরথ
আকর্ষণীয় লড়াইয়ের বদলে ট্যাকটিক্যাল ডুয়েল। দুই কোচই রক্ষণ সামলে প্রতিপক্ষকে ভাঙার কৌশল নিয়েছিলেন ৷ গ্রেগ স্টুয়ার্ট, আহমেদ জাহু, বিপিন সিং, লালিয়ানজুয়ালা ছাংতেদের মতো ফুটবলাররা পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে কার্যত দাপট দেখালেও ফাইনালে ব্যর্থ। বেঙ্গালুরু এফসির পাতা ফাঁদে বারবার ধরা পড়ে গেলেন তাঁরা। যখনই মুম্বই ফুটবলাররা বল ধরেছেন তখনই নীল জার্সির কয়েক জোড়া পা তাঁদের দিগভ্রান্ত করেছেন। ম্যাচের দশ মিনিটে শিবশক্তির গোলে এগিয়ে যায় বেঙ্গালুরু এফসি। দলের দুই তারকা স্ট্রাইকার সুনীল ছেত্রী এবং রয় কৃষ্ণার মাঝে হারিয়ে না গিয়ে সুযোগ কাজে লাগিয়ে দলের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রধান কারিগর হয়ে উঠলেন তিনি।
ডুরান্ড কাপে দলের মধ্যে সর্বোচ্চ গোলদাতাও তিনি। পিছিয়ে পড়ে হাল ছাড়ার বদলে খেলার রাশ তুলে নিতে চেয়েছিল মুম্বই। কিন্তু বেঙ্গালুরুর সংঘবদ্ধ বাধার সামনে তারা ব্যর্থ। এমনকী বক্সের সামনে গোটা চারেক ফ্রি-কিক থেকেও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ জাহু, স্টুয়ার্টরা। তা সত্ত্বেও সমতায় ফেরে মুম্বই। ত্রিশ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে স্টুয়ার্টের নেওয়া শট গুরপ্রীত চাপড়ে সামনে ফেললে তা ফিরতি শটে জালে পাঠান আপুইয়া।
আরও পড়ুন:'প্রিয়' সুনীলের সঙ্গে ব্লুজ'দের ডেরায় মধ্যাহ্নভোজ, আবেগে ভাসলেন লাল-হলুদের লজেন্স মাসি
বিরতির পর দু'দল থেকে একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকলেও তা কখনই গোল করার পরিস্থিতি তৈরি করেনি। 61 মিনিটে সুনীল ছেত্রীর কর্নারে মাথা ছুঁইয়ে জয়সূচক গোল অ্যালান কোস্তার। জয়সূচক গোলের রাস্তা তৈরি করলেও সুনীল ছেত্রী (Sunil Chhetri) স্বয়ং অন্তত জোড়া সুযোগ নষ্ট করেন। যদিও দিনের শেষে ট্রফি নিয়েই মাঠ ছাড়লেন ভারত অধিনায়ক। অধরা ডুরান্ড জয়ের আক্ষেপ মিটল তাঁর প্রতিষ্ঠা পাওয়ার আতুড় ঘরে (Durand Cup Final)।