কলকাতা, 18 সেপ্টেম্বর: অধরা ডুরান্ড জয়ের লক্ষ্যে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে সুনীল ছেত্রী । দীর্ঘ ফুটবল জীবনে দেশের ঘরোয়া টুর্নামেন্টের সবকটি জিতলেও ডুরান্ড কাপ এখনও ছুঁতে পারেননি তিনি । এবার সেই না-পাওয়া ট্রফিই ক্যাবিনেটে তুলতে মরিয়া ভারতীয় দলের অধিনায়ক । বেঙ্গালুরু এফসির হয়ে মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে খেলতে নামতে চলা আটত্রিশে পা-দেওয়া ফুটবলারও বিষয়টি নিয়ে সচেতন (Sunil Chhetri eyes to clinch Durand Cup) ।
সুনীল বলছেন, মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে সতর্ক হয়ে নামতে হবে । কারণ প্রতিপক্ষ সুযোগসন্ধানী এবং শক্তিশালী । তাই সুনীলের অধরা মাধুরী স্পর্শ সম্ভব হল কি না তা দেখাই ডুরান্ড ফাইনালের অন্যতম আকর্ষণ । পাশাপাশি প্রথমবার ডুরান্ড কাপ খেলতে এসেই ট্রফি নিয়ে ঘরে ফিরতে মরিয়া মুম্বই শিবিরও (Bengaluru FC to face Mumbai City FC)।
ইস্ট-মোহন আগেই বিদায় নিয়েছে । সেমিফাইনালে ছিটকে গিয়েছে মহমেডান স্পোর্টিংও । কলকাতায় ডুরান্ড কাপ ফাইনাল, অথচ তিন প্রধানের কেউই নেই । এরকম পরিস্থতি শেষ কবে হয়েছে মনে করা মুশকিল । তবে তাতে ফাইনালের উত্তেজনায় খানিকটা ভাঁটা পড়লেও পুরোপুরি ফিকে হয়ে যায়নি । তার অন্যতম কারণ, দুই ঘরের ছেলে । তারমধ্যে একজন কলকাতার জামাই । রবিবাসরীয় সন্ধেয় ডুরান্ড ফাইনালে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে সুনীল ছেত্রী এবং রয় কৃষ্ণ । ছুটির দিন এই দু'জনকে দেখতে গ্যালারিতে ভিড় জমাতে পারেন ফুটবল ভক্তরা (Durand Cup Fina) ।
ইস্ট-মোহনে দাপিয়ে খেলেছেন সুনীল । ভারতের নেতা। সর্বোপরি, ছেত্রীর স্টার ইমেজ । এই কারণগুলোর জন্য কাল মাঠমুখি হতে পারে শহরের ফুটবলপ্রেমীরা। ফাইনালের আরও একটি ফ্যাক্টর হলেন রয় কৃষ্ণ। মোহনবাগান ছাড়লেও সবুজ-মেরুন জনতার হৃদয়ে রয়ে গিয়েছেন ফিজির স্ট্রাইকার । মোহনবাগানের জার্সিতে আর না দেখা গেলেও, নিঃসন্দেহে রবি সন্ধেয় রয়ের গোল দেখতে চাইবে যুবভারতী । মহমেডান ফাইনালে উঠলে যে ভিড় হত, তার 50 শতাংশ হওয়ারও সম্ভাবনা নেই । তবে এই দু'জনের ক্যারিশ্মায় গ্যালারির কিছু অংশ ভরার আশায় আয়োজকরা ।
আরও পড়ুন: মোহনবাগানের বায়নাক্কার জের, চূড়ান্ত সূচি করতে পারল না আইএফএ
ঐতিহ্যশালী টুর্নামেন্টের ফাইনালে লড়াই সাম্প্রতিককালে খাতায়-কলমে আইএসএলের দুই সেরা দল মুম্বই সিটি এফসি এবং বেঙ্গালুরু এফসির মধ্যে । মোরতাদা ফলের সংযোজনে আরও শক্তিশালী হয়েছে আইল্যান্ডারদের রক্ষণ । টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ স্কোরার লালিয়ানজোয়ালা চাংতে রয়েছে মুম্বইয়ে । ইতিমধ্যেই সাতটি গোল করে ফেলেছেন । দলের প্রধান ভরসা মিডফিল্ড জেনারেল গ্রেগ স্টুয়ার্ট । সবমিলিয়ে মুম্বইয়ে যথেষ্ট ভারসাম্য রয়েছে । ডুরান্ড কাপ জিতে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আইএসএল শুরু করতে চান কোচ দেজ বাকিংহ্যাম । তবে মাঝমাঠ এবং আক্রমণ শক্তিশালী হলেও রক্ষণে কিছু গলদ রয়েছে । যা প্রথমে দেখিয়ে দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল । সেমিতেও সাদা-কালো ব্রিগেডের স্ট্রাইকাররা লক্ষ্যভ্রষ্ট না হলে কোনওভাবেই ক্লিনচিট রাখতে পারত না মুম্বই । এই দুর্বল জায়গাটার ফায়দা তুলতে চাইবে বেঙ্গালুরু ৷
অন্যদিকে, কয়েকমাস আগেই যুবভারতীতে দেশের জার্সিতে দুর্দান্ত খেলেছেন সুনীল । ক্লাবস্তরেও একই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাইবেন । মোহনবাগানের জার্সিতে একাধিক গোল রয়েছে রয় কৃষ্ণর । বেঙ্গালুরুর দুই তারকাই ফর্মে রয়েছেন । সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন শিবা শক্তি । রক্ষণে ভরসা দিচ্ছেন সন্দেশ । গোলে রয়েছেন নির্ভরযোগ্য গুরপ্রীত । দল কেমন ফুটবল খেলল সেটা বড় নয় কোচ সাইমন গ্রেসনের কাছে । আসল লক্ষ্য ডুরান্ড জয় । ফলে জয় পেতে মরিয়া সিলিকন ভ্যালির ফুটবলাররা ৷