মারগাও, 18 মার্চ: রয় কৃষ্ণা, জাভি হার্নান্দেজ, প্রবীর দাস ৷ বেঙ্গালুরু এফসির আক্রমণের তিন ফলা । উইং ধরে বাঙালি সাইডব্যাকের দৌড় এবং মাপা সেন্টার থেকে রয় কৃষ্ণার গোলের মুখ খুলে ফেলা ৷ আইএসএল-এর পুরনো ছবি হয়ে রয়ে গিয়েছে । মাঝমাঠে জাভি হার্নান্দেজ নিজের দিনে যেকোনও প্রতিপক্ষের জন্য দুঃস্বপ্ন বয়ে নিয়ে আসতে পারেন (Bengaluru FC eye to Clinch Indian Super League ) ।
চলতি আইএসএল-এ বেঙ্গালুরু এফসি টানা 11টি ম্যাচে অপরাজিত । খাদের কিনারা থেকে ট্রফির সামনে 'মেন ইন ব্লু' । শিবশক্তি, রোশনের মত দলের তরুণ ব্রিগেড যদি দলের লড়াইয়ের রসদ হয়, তাহলে প্রবীর-কৃষ্ণা-হার্নান্দেজের অভিজ্ঞতা যেন বেঙ্গালুরুর দিগনির্দেশক । তিনজনই সবুজ-মেরুন সাজঘরের আবহাওয়া জানেন । আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের আমলে সবুজ-মেরুন জার্সিতে ফাইনাল খেলেছেন । তিনজনেরই আবার লাল-সাদা জার্সিতে এটিকের হয়ে আইএসএল জয়ের কৃতিত্ব রয়েছে । এবার নতুন প্রেক্ষাপটে এটিকে মোহনবাগানের সামনে ত্রয়ী ।
দল বদল করলেও তাঁরা ফুরিয়ে যাননি । বরং নতুন দলে নতুন ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন । জুয়ান ফেরান্দোর আমলে এটিকে মোহনবাগানে ব্রাত্য ত্রয়ী কি বোঝাতে পারবেন সেকথা ? ফেরান্দোর দলের ব্রাত্যরা সাইমন গ্রেসনের দলে তুরুপের তাস হয়ে উঠতে পারেন তা প্রমাণিত । তিনটি গোল করেছেন রয় কৃষ্ণা, কিন্তু খেলার স্টাইল বদলে আরও বেশি ইউটিলিটি ফুটবলার হয়ে উঠেছেন । গোলের জন্য প্রতিপক্ষের বক্সে অপেক্ষায় থাকাই নয়, প্রতিপক্ষের আক্রমণ থামাতে নিচেও নামছেন তিনি । তাঁর পরিবর্তিত ফুটবল স্টাইলের প্রশংসা এটিকে মোহনবাগানের ডিফেন্ডার স্লাভকোর গলায় ।
স্লাভকোর মতে, “ওগবেচে বক্সে খেলতে ভালোবাসে । কিন্তু রয় কৃষ্ণা অনেকটা জায়গা জুড়ে খেলে । ওর বিরুদ্ধে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে আমার । তা থেকেই জানি, রয় কৃষ্ণা কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে । তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে ।” শনিবার ফিজিয়ান স্ট্রাইকার যে মধুর বদলা নিতে চাইবেন তা বলাই বাহুল্য ।