বেঙ্গালুরু, 4 অক্টোবর: রেফারিং নিয়ে শঙ্কার কথা আগেও করেছেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। শুধু তিনি নন, চলতি আইএসএলে ম্যাচ পরিচালনায় রেফারিদের মান নিয়ে সরব কম বেশি সব দল। কান্তিরাভায় ম্যাচের 21 মিনিটে সুনীল ছেত্রী পেনাল্টি থেকে বেঙ্গালুরু এফসিকে সমতায় ফেরালেন। যেভাবে প্লে-অ্যাকটিং করে পেনাল্টি আদায় করলেন, তা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ভারত অধিনায়ককে কটাক্ষে ভরিয়ে দিচ্ছেন লাল-হলুদ সমর্থকরা । দ্বিতীয়ার্ধে বক্সের মধ্যে বেঙ্গালুরু এফসির ফুটবলারের হাতে বল লাগলেও নিশ্চিত পেনাল্টি দিলেন না রেফারি । যা নিয়ে ধারাভাষ্যকাররাও সরব ৷
ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে গোল করেন নওরেম মহেশ সিং। বেঙ্গালুরু এফসির হয়ে গোল করেন সুনীল ছেত্রী। 15 মিনিটের মাথায় গোল করে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। নন্দকুমারের পাস থেকে বল পেয়ে রোহিতকে কাটিয়ে গোল করেন নওরেম মহেশ সিং। দুরন্ত ফুটবল উপহার দিলেন। শুধু গোল করাই নয়। দলের আক্রমণ সাজানোর দায়িত্ব পালন করলেন তিনি। যাকে সামলাতে বারবার বেগ পেতে হয়েছে বেঙ্গালুরু এফসিকে। শুধু মহেশ নন, পুরো ইস্টবেঙ্গল দলই দুরন্ত ফুটবলে প্রতিপক্ষকে কোনঠাসা করে রেখেছিল। এশিয়ান গেমস থেকে ফিরে পারদোর সঙ্গে রক্ষণ সামলানোর দায়িত্ব সামলালেন চুননুঙ্গা। বোঝাপড়া পোক্ত হলে আরও জমাট দেখাবে লাল-হলুদ রক্ষণকে।
আরও পড়ুন: জ্যাভলিনে খেতাব ধরে রাখলেন 'সোনার ছেলে', রুপোও এল ভারতের ঘরে; হ্যাংঝাউ মাতাল নীরজ-কিশোর জুটি
তবে কুয়াদ্রাতের একজন ভালো রাইটব্যাক প্রয়োজন। নিশুকুমার দলের ভালো খেলার মানের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারছিলেন না। 29 মিনিটে নন্দকুমারের গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। সুনীল ছেত্রীকে সামনে রেখে প্রতিআক্রমণে ইস্টবেঙ্গলকে ভাঙার ছক সাজিয়ে ছিলেন সাইমন গ্রেসন। কিন্তু কার্ড সমস্যায় সুরেশ সিং এবং রোশন সিং না-থাকায় সমস্যায় পড়েছিল। জাভি হার্নান্দেজ মাঝমাঠে থাকলেও তাঁকে পুরনো ছন্দে পাওয়া যায়নি।
সুনীল ছেত্রীকে সামনে রেখে প্রতিআক্রমণে ইস্টবেঙ্গলকে ভাঙার ছক সাজিয়ে ছিলেন সাইমন গ্রেসন। কিন্তু কার্ড সমস্যায় সুরেশ সিং এবং রোশন সিং না-থাকায় সমস্যায় পড়েছিল। জাভি হার্নান্দেজ মাঝমাঠে থাকলেও তাঁকে পুরনো ছন্দে পাওয়া যায়নি। তবুও 72 মিনিটে সুনীল ছেত্রীর সেন্টার থেকে বাইসাইকেল কিকে গোল করে যান তিনি। বিরতির পরে ফের বলের দখল ইস্টবেঙ্গলের পায়ে। কিন্তু গোলমুখে ব্যর্থতা তাদের এগোতে দেয়নি। নন্দকুমার গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিংকে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ।
সহজ হেড গোলে রাখতে পারেননি হরমনজ্যোত খাবরা। পিছিয়ে পড়ার পর একের পর এক আক্রমণে পুরো বেঙ্গালুরু এফসি দলকে নিজেদের অর্ধে নামিয়ে নিয়ে আসলেও ইস্টবেঙ্গল গোলের মুখ খুলতে ব্যর্থ। হায়দরাবাদ এফসি ম্যাচের নায়ক ক্লেইটন সিলভা পুরো ম্যাচে একটি নির্বিষ ফ্রিকিক নেওয়া ছাড়া সেভাবে ছাপ ফেলতে পারেননি। গোল নষ্টের পুরনো রোগই কান্তিরাভায় ডোবালো ইস্টবেঙ্গল এফসিকে। বলের দখল, গোল লক্ষ করে শট, পাসিং সব বিভাগে টেক্কা দিয়েও আইএসএলে তৃতীয় ম্যাচে হারের তেতো স্বাদ লাল-হলুদে।