কলকাতা, 11 এপ্রিল: জলেই কাটে তাঁর জীবন । বাংলার সাঁতারু সায়নী দাস সাঁতার থেকে এখন অনেকটাই দূরে । পূর্ব বর্ধমানের কালনার বাড়িতে গৃহবন্দী অবস্থায় সময় কাটছে তাঁর । 20 মার্চ থেকে বাড়ির বাইরে পা রাখছেন না সায়নী । লং ডিসট্যান্স সুইমিংয়ে নতুন কীর্তি গড়ার ইচ্ছে থাকলেও বর্তমানে তা সম্ভব নয় । তাই এই অবসর সময়টাকে কাজে লাগাতে অবশ্য নতুন লক্ষ্য স্থির করে ফেলেছেন ইংলিশ চ্যানেল জয়ী এই বাঙালি সাঁতারু । বাড়িতে বসে ইতিহাস নিয়ে স্নাতকস্তরের পড়াশোনার প্রস্তুতি শুরু করেছেন তিনি ।
ইংলিশ চ্যানেল পার করা বাঙালি সাঁতারুদের মধ্যে নবতম সংযোজন সায়নী দাস । সেই কীর্তি গড়ার পর অ্যামেরিকার হাওয়াই দ্বীপের মোলোকাই চ্যানেল পার হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন । আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে রওনা হওয়ার কথা ছিল তাঁর । কিন্তু কোরোনা ভাইরাসে বিদ্ধ বিশ্বের এই পরিস্থিতি কবে ঠিক হবে তা কারও জানা নেই । আর অ্যামেরিকার অবস্থা প্রতিদিন খারাপ হচ্ছে । এই অবস্থায় চ্যানেল জয়ের ভাবনা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলেছেন সায়নী । আপাতত পড়াশোনার দিকে মনোনিবেশ করছেন তিনি ।
বন্ধ সাঁতার, স্নাতকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ইংলিশ চ্যানেল জয়ী সায়নী
ইংলিশ চ্যানেল পার করা বাঙালি সাঁতারুদের মধ্যে নবতম সংযোজন সায়নী দাস । সেই কীর্তি গড়ার পর অ্যামেরিকার হাওয়াই দ্বীপের মোলোকাই চ্যানেল পার হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন । আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে রওনা হওয়ার কথা ছিল তাঁর । সেই পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছে কোরোনা ভাইরাস প্যানডেমিক ।
সায়নী দাস
তবে চিন্তা যে একেবারে ছিল না তা নয় । পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর নতুন চ্যানেল জয়ের অর্থ জোগাড় হবে কীভাবে ? কিন্তু স্পনসরদের আশ্বাসে সেই চিন্তা দূর হয়েছে । তাই অবস্থা স্বাভাবিক হলেই স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে নেমে পড়বেন বলে জানালেন আরতি সাহা, বুলা চৌধুরীদের উত্তরসূরি । সায়নীর কথায়, "আমাকে যে সংস্থা স্পনসর করবে তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে । ওরা বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করতে বারণ করেছে ।" এই আশ্বাসে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন বছর কুড়ির সাঁতারু ।
সাফল্য মানেই আশার পারদ চড়তে থাকা । সায়নী সেটা জানেন । তাই ধাপে ধাপে লক্ষ্যপূরণ করতে চান । ইতিহাসের ভিতে দাঁড়িয়ে থাকে বর্তমান । বর্তমান ভবিষ্যতের ছবি আঁকে । সায়নী ইতিহাসের ছাত্রী । ইংলিশ চ্যানেল জয় তাঁকে ইতিহাসে জায়গা করে দিয়েছে । এবার সেই জায়গাটা একাধিক জয়ের পালকে সাজাতে চান তিনি ।