কলকাতা, 4 এপ্রিল : কলকাতা শহরের ফুসফুস ময়দান । ক্রীড়া জগতের উপস্থিতি, সেই ফুসফুসের তাজা অক্সিজেন । নিয়মিত ক্রীড়াচর্চা কলকাতা ময়দানকে সর্বদা সতেজ করে রাখত । সকাল এবং বিকেলে কলকাতা ময়দানের ক্লাবগুলোতে খেলা চর্চা ছিল পরিচিত দৃশ্য । কিন্তু করোনার ধাক্কায় টালমাটাল হয়ে যায় সবকিছুই । ভেঙে যায় ময়দানের ক্রীড়াশৃঙ্খল ৷ তবুও হাল ছাড়েনি ময়দানে উপস্থিত বিভিন্ন ক্লাব । লকডাউনের পরে আমফানের ধাক্কায় কার্যত ভেঙে পড়া বাস্কেটবল সংস্থার তাঁবু ফের স্বমহিমায় । যা ময়দানে খেলার প্রত্যাবর্তনের চেষ্টার ভালো ছবি ।
দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামেই ফিরেছে ফুটবল । স্থানীয় ক্রিকেট তার অবয়বে বদল ঘটিয়ে দৌড়োচ্ছে । ময়দানে সাহস দেখাচ্ছে অন্যান্য খেলা গুলিও । রাজ্য ভলিবল সংস্থাও তাদের লিগ শুরু করেছে । এবার সেই পথে রাজ্য বাস্কেটবল । রাজ্য সংস্থার তিনটি কোর্টে করোনার বিধিনিষেধ মেনেই শুরু হয়েছে লিগ । বন্ধ রাখা হয়েছে রেড রোডের ধারের প্রধান ফটক ৷ সবার প্রবেশ পথ মহমেডান ক্লাবের পেছনের দিকের গেট । সেখানে থার্মাল গানে কোচ, খেলোয়াড়, কর্তা এবং অভিভাবকদের শারীরিক তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে । তারপর স্যানিটাইজ়ারে হাত ধোয়ার পরেই মিলছে প্রবেশাধিকার । পাশাপাশি মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে । তবে খেলা চলাকালীন ডাগআউটে বসে থাকা দলের সদস্য বা খেলা দেখতে ব্যস্ত লোকদের বেশিরভাগের মুখেই মাস্ক দেখা যাচ্ছে না ।