কলকাতা, 29 মে: ব্যাঙ্ক জালিয়াতির শিকার হলেন প্রাক্তন ফুটবলার সুব্রত ভট্টাচার্য ৷ তাঁর একটি বেসরকারি ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে খোয়া গেল 15 লক্ষ টাকা ৷ যা এখনও উদ্ধার করা যায়নি ৷ থানার দ্বারস্থ হয়েছেন প্রবীণ প্রাক্তন ভারতীয় ফুটবলার ৷ তিনি জানিয়েছেন, রবিবার সকালে তাঁর ফোন প্রথম মেসেজ আসে ৷ তখন তিনি বিষয়টি বুঝতে পারেননি ৷ আজ সকালে পার্ক স্ট্রিটে ওই বেসরকারি ব্যাংকের শাখায় গিয়ে খোঁজ নিতেই জালিয়াতির শিকার হয়েছেন, তা বুঝতে পারেন সুব্রত ভট্টাচার্য ৷ মোহনবাগান, বাংলা এবং দেশের হয়ে ফুটবল খেলেছেন ৷ পাশাপাশি, কর্মজীবনে ছিলেন স্টেট ব্যাংকের কর্মী ৷ তাই তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্টেই প্রতারণা হবে, সেটা ভাবতেই পারেননি তিনি ৷
সুব্রত ভট্টাচার্য এই ঘটনা নিয়ে বলেন, ‘‘পার্ক স্ট্রিটের একটি ব্যাংকে টাকা রেখেছিলাম ৷ দীর্ঘদিন ধরেই ওখানে অ্যাকাউন্ট রয়েছে আমার ৷ কোনও দিন এই সমস্যায় পড়িনি ৷ পাঁচ-ছ’দিন আগে মোবাইলে টাকা তোলার মেসেজ দেখতে পেয়েছিলাম ৷ অবাকই হয়েছিলাম ৷ খোঁজ নিতেই অসঙ্গতি ধরা পড়ে ৷ ব্যাংকের গিয়ে পাসবুক আপডেট করে মেলাতেই দেখি অ্যাকাউন্টে 15-16 লক্ষেরও বেশি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে ৷ কে তুলল জানি না ৷ আমি ছাড়া কেউ অপারেট করে না অ্যাকাউন্টটা ৷ প্রথমে পার্ক স্ট্রিট থানা ও পরে গল্ফ গ্রিন থানায় এফআইআর দায়ের করি ৷ পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে ৷ ব্যাংক বলেছে খতিয়ে দেখছে ৷ কিন্তু, এখনও সেই টাকা মেলেনি ৷”
সুব্রত মনে করেন, তিনি অনলাইন জালিয়াতির স্বীকার হয়েছেন ৷ আপাতত অপেক্ষা করছেন হারানো টাকা ফেরত আসার ৷ কীভাবে এই ঘটনা ঘটল ? তা এখনও বুঝতে পারছেন না প্রাক্তন ফুটবলার ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ তবে, প্রায় 15 লক্ষ টাকা খোয়ানোর আক্ষেপ স্পষ্ট সুব্রত ভট্টাচার্যের গলায় ৷ প্রাক্তন এই ফুটবলার আগের মতো বাড়ি থেকে বের হন না ৷ পার্ক স্ট্রিটে একটি অভিজাত কফিশপে মাঝে মধ্যে আড্ডা দেন ৷ অথবা পুরনো এক কর্মকর্তার অফিসে যান ৷ মোহনবাগান ক্লাবে বিকেলে নিয়মিত আর যান না ৷ ফলে কোথায়, কীভাবে ওই বেসরকারি ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছিলেন, তা মনে করতে পারছেন না ৷