কলকাতা, 24 সেপ্টেম্বর: কলকাতা লিগের (CFL) সুপার সিক্সের বল গড়ানোর দু'দিন বাকি। রবিবার প্রথম দিনে ইস্টবেঙ্গল এবং মহামেডান স্পোর্টিং নৈহাটি ও কল্যাণী স্টেডিয়ামে যথাক্রমে খিদিরপুর, এরিয়ানের বিরুদ্ধে খেলবে। এই অবস্থায় সুপার সিক্সের বাকি পাঁচটি দল প্রস্তাবিত সূচি অনুসারে খেলার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিলেও মোহনবাগান (Mohun Bagan) কিছুই জানায়নি।
সোমবার এটিকে মোহনবাগানের ম্যাচ সূচি অনুসারে ভবানীপুর ক্লাবের বিরুদ্ধে। কিন্তু মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত বলছেন, নির্দিষ্ট সময়ে তাঁদের অবস্থান জানানো হবে। বল গড়ানোর 48 ঘণ্টা আগে তাঁদের এই দোদুল্যমান অবস্থান অংশগ্রহণ না করার দিকে ইঙ্গিত করে। তার ওপর গতকাল এবং শনিবার অর্থাৎ, আজ কোচ জুয়ান ফেরান্দো দলের অনুশীলনে ছুটি দিয়েছেন। আগামিকাল প্র্যাকটিস রয়েছে। তবে সবুজ-মেরুন শিবিরের অবস্থান দেখে মনে হচ্ছে না তারা সোমবার মাঠে নামবে (Calcutta Football League)।
আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত জানিয়েছেন, এটিকে মোহনবাগান যদি না খেলে তাহলে তাঁরা অপারগ। এখন প্রশ্ন হল এটিকে মোহনবাগান অবস্থান স্পষ্ট করলে আইএফএ (IFA) বিকল্প পরিকল্পনা করতে পারে। সেক্ষেত্রে রেলওয়েফসিকে সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। তাই সুপার সিক্সের তৈরি হওয়া সমস্যাকে ময়দানের একাংশ 'মোহনবাগান মেড' বলছেন।
আরও পড়ুন:প্রস্তুতি ম্যাচে তিন গোলে জয়, প্রস্তুতিতে খুশি স্টিফেন
অন্যদিকে ইমামি ইস্টবেঙ্গল কলকাতা লিগে অংশগ্রহণের ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছে। সেইমতো অনুশীলন চলছে। প্রথম ম্যাচে খিদিরপুরের বিরুদ্ধে সম্ভবত রিজার্ভ টিমের ফুটবলার দিয়েই একাদশ গড়া হবে। ইতিমধ্যে কেরালার হয়ে সন্তোষ ট্রফিতে ভালো খেলা চারজন ফুটবলারকে নেওয়া হয়েছে। সুপার সিক্সের জন্য যদিও পুরো দলকেই নথিভুক্ত করা হয়েছে।
25 সেপ্টেম্বর অর্থাৎ, আগামিকাল ইস্টবেঙ্গল কোচ বিনু জর্জের অধীনে যখন সুপার সিক্সের খেলায় ব্যস্ত থাকবে তখন দলের বাকিদের নিয়ে অনুর্ধ্ব-20 ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে থাকবেন চিফ কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন। 30 সেপ্টেম্বর আই লিগের দল রিয়াল কাশ্মীরের বিরুদ্ধে আরও একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। ইতিমধ্যে এরিয়ানের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে তিন গোলে জয় পেয়েছে ইস্টবেঙ্গল।
পুজোর আগে 28 সেপ্টেম্বর সুপার সিক্সের আরও একটি ম্যাচ খেলবে। প্রতিপক্ষ রাজদীপ নন্দীর এরিয়ান। অন্যদিকে, প্রস্তুতিতে ব্যস্ত মহামেডান স্পোর্টিং। আগামিকাল এরিয়ানের বিরুদ্ধে খেলবে আন্দ্রে চেরিনেশভের দল। গতবছর চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সাদা-কালো শিবির। এবারও প্রথম ম্যাচ থেকে দাপুটে ফুটবল উপহার দিতে চাইছে। যাতে ডুরান্ডের ব্যর্থতা ভুলে লিগ খেতাব ধরে রাখা যায়। সমস্যা মিটিয়ে সকলেই যখন কলকাতা লিগকে সফল করার ব্যাপারে হাত বাড়াচ্ছে তখন বায়নাক্কাকে ঢাল করে অসহযোগিতার পথে সবুজ-মেরুন।
আরও পড়ুন:ফুটবল ক্যালেন্ডারে কলকাতা লিগের জন্য সময়, আশ্বাস ফেডারেশন সভাপতি কল্য়াণের