কলকাতা, 7 সেপ্টেম্বর: দু'দলের সুপার সাবদের গোলই নির্ণায়ক হয়ে রইল এএফসি কাপের ইন্টার-জোনাল সেমিফাইনালে । ফারদিন আলি মোল্লার (Fardin Ali Molla) গোল যদি এটিকে মোহনবাগানকে সঞ্জীবনী দিয়ে থাকে তাহলে তা স্থায়ী হয়নি কুয়ালালামপুর এফসি ফাকরুল আইমানে গোলের সৌজন্যে । 1-0 থেকে শেষ মুহূর্তে 1-1 । পরমুহূর্তেই 2-1 । খানিক পরেই মালয়েশিয়ার ক্লাব দলের পক্ষে 3-1। বেলাশেষের ফুটবলে দ্রুত রংবদল। যে বদলের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে ব্যর্থ জুয়ান ফেরান্দোর বাগান (Kuala Lumpur FC beat ATK MB) ৷
ক্রিকেটীয় পরিভাষায় ক্যাপ্টেনস নক-এর ফুটবলায়ন দেখা গেল বুধের সন্ধ্যার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। ম্যাচের ষাট মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে কুয়ালালামপুর এফসি'র অধিনায়ক পাওলো জোশুয়ার বাঁ-পায়ের গোলার মত শট খুঁজে নেয় গোলের ঠিকানা ৷ ঝিমিয়ে পড়া যুবভারতীর ঘুম ভাঙে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারের গোলটি। সবমিলিয়ে 3-1 গোলে এটিকে মোহনবাগানকে হারিয়ে এএফসি কাপের ইন্টার-জোনাল ফাইনালে পৌঁছল মালয়েশিয়ার দলটি (ATK MB knocked out from AFC cup)। 5 অক্টোবর তাদের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তানের ক্লাব এফসি সগডিয়ানা জিজাখ।
ডিফেন্স সামলে প্রতিপক্ষ রক্ষণ ভাঙার ছক কষেছিলেন জুয়ান ফেরান্দো। কিন্তু এই কৌশলে যে ধরনের পাসিং ফুটবল দরকার তা বুধবার দেখা যায়নি। লিস্টন কোলাসো এবং জনি কাউকোকে জোনাল মার্কিং'য়ে আটকে দিয়েছিল কুয়ালালামপুর। তাতেই সবুজ-মেরুন দিগভ্রষ্ট। বিরতির আগে একটি সুযোগ ছাড়া মোহনবাগান সেভাবে গোলের সুযোগও তৈরি করতে পারেনি। অন্যদিকে মালয়েশিয়ার দলটিও যে রোডরোলার চালিয়েছে তা নয়। প্রথমার্ধে রক্ষণ সামলে প্রতিপক্ষকে মেপে নেওয়ার পরে বিরতির পরে বিক্ষিপ্ত আক্রমণে সবুজ-মেরুন রক্ষণ ভাঙে তারা।