কলকাতা , 21 জুন : জীবনের সব সমস্যা সরিয়ে দৌড়কে সম্বল করে বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখে অ্যাথলিট পল্লব মালো । কিন্তু স্বপ্ন এবং বাস্তবতার মধ্যে ফারাক যে অনেক । করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে জীবনের ছবি বদলে যাচ্ছে । স্বপ্ন পূরণের পথে হঠাৎ কঠিন বাঁক জীবনকে নতুনভাবে সইয়ে নিতে বাধ্য করছে । একটা নির্ভরতার হাত হয়তো সেই তলিয়ে যাওয়ার পথে আশ্রয় হতে পারে । কিন্তু চাইলে সব সময় সবকিছু মেলে না । পল্লবের জীবনটা হয়তো সেইভাবে পল্লবিত হওয়ার আগেই বর্তমান পরিস্থিতির কারণে দুমড়ে যেত । কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক এবং বর্তমানে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের তৎপরতায় পল্লব ফের রেসিং ট্র্যাকে ।
গত একবছরেরও বেশি সময় ধরে খেলাধুলো বন্ধ । সর্বস্তরের ক্রীড়াবিদরা মাঠে না নামতে পেরে হাসফাঁস করছেন । অনেক ক্রীড়াবিদ পরিবারের আর্থিক কষ্ট লাঘব করতে বিভিন্ন পেশায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন । যেরকমটা হয়েছে পল্লব মালোর ক্ষেত্রে । বালুরঘাট ব্লকের গোপালবাটি-৯ গ্রাম পঞ্চায়েতের জোতগোপাল গ্রামের বাসিন্দা বছর আঠারোর পল্লব । জলপাইগুড়ি সাই সেন্টারের অ্যাথলিট সে । পল্লবের বাবা প্রদীপ মালো দিনমজুর । কখনও চাষের ক্ষেত, আবার কখনও লোকের বাড়িতে রাজমিস্ত্রির যোগাড়ে । মা দিদি ঠাকুমাকে নিয়ে পাঁচজনের সংসারে বাবার উপার্জন যথেষ্ট নয় । তাই একবছর খেলা না থাকায় পল্লব বাবার সঙ্গে দিনমজুরের কাজে লেগে পড়েছে । "যখন যা পাই তাই করি । রাজমিস্ত্রির সঙ্গে কাজ করেছি আবার ধান পাট কাটতে মাঠেও নেমেছি । রাজমিস্ত্রির সঙ্গে দিনে দুশো টাকা, মাঠে চাষের কাজ করলে আড়াইশো টাকা মেলে । সঙ্গে খোরাকি ৷" বলে পল্লব ।