কলকাতা, 23 জুন : দেশের হকি মহলে এখন কবীর খান ভবানীপুরের বাসিন্দা বলজিৎ সিং সাইনি । বাংলা থেকে সাফল্যের সঙ্গে জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করেছেন এই হকি চ্যাম্পিয়ন । তবে, বাংলা ছেড়ে বর্তমানে থাকেন জলন্ধরে । সেখানেই নিজের অ্যাকাডেমিতে নতুন হকি প্রতিভার অন্বেষণ ও তাঁদের গড়ে তোলার কাজ করেন । সঙ্গে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন ভারতীয় মহিলা জুনিয়র হকি টিমের কোচের ।
বাংলা ছেড়েছেন বেশ কয়েক বছর হল । ডাক পেলে বাংলায় আসতে দ্বিধা করেন না কখনও । গতকাল এসেছেন কলকাতায় । তারপর আজ বেশিরভাগ সময় কাটালেন কর্নেল নন্দী সিং হকি অ্যাকাডেমি আয়োজিত সাবজুনিয়র পর্যায়ের একটি হকি প্রতিযোগিতায় । অনেকটা ওয়ান ডে ফুটবলের আদলে ময়দানের কাস্টমস টেন্টের লনে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় এসে তিনি জানান, এই মাঠে আধুনিক হকি সম্ভব নয় । কলকাতায় অ্যাস্ট্রোটার্ফ না হলে বাংলায় হকির উন্নতি সম্ভব নয় ।
ভিডিয়োয় শুনুন বলজিৎ সিং সাইনির বক্তব্য তাঁর ছ'জন ছাত্রী এখন ভারতীয় মহিলা দলে । খেলছেন জাপানে । টোকিও অলিম্পিকের পাসওয়ার্ড পাওয়ার জন্য এই টুর্নামেন্টে সাফল্য জরুরি । তাঁদের নিয়ে আত্মবিশ্বাসী সাইনি । কোচ হিসেবে গর্বিতও । ঠিক অনেকটা চক দে ইন্ডিয়ার কবীর খানের আদল বাংলার এই প্রাক্তনের মধ্যে । সেই কারণে হকি মহলে "শাহরুখ কবীর খান" বলেই ডাকা হয় তাঁকে ।
মহিলা দলের কোচ বলে শুধু মহিলা দলই নয়, ছেলেদের হকির পারফরম্যান্স নিয়েও নতুনভাবে স্বপ্ন দেখছেন বলজিৎ । তাঁর মতে, বিশ্ব হকি ব়্যাঙ্কিংয়ে ভারতীয় দল এখন পাঁচ নম্বরে । চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সরাসরি খেলার সুযোগ পেয়েছে । টোকিও অলিম্পিকে যোগ্যতা পাওয়াই এখন পাখির চোখ । তার জন্য আপাতত ভুবনেশ্বরে প্রথম ধাপ পেরনো সম্ভব হয়েছে । এবার শুধু ফাইনালের দিকে নজর । আর ভারতীয় দলে তারুণ্য ও অভিজ্ঞতা মিশ্রণই সাফল্যের মূল কথা বলে মনে করেন তিনি । দলের সিনিয়রদের চোট বাঁচিয়ে ব্যবহার করতে পারলে উপকার মিলবে বলেও আশাবাদী তিনি ।
দেশি-বিদেশি কোচের পার্থক্য নিয়ে প্রশ্ন করতে জানান, এই বিভাজনে তিনি যেতেই চান না । বিদেশি কোচের হাতে দায়িত্ব দেওয়ার মধ্যে ভুল নেই । তবে সংশ্লিষ্ট বিদেশি কোচকে ভারতীয় খেলোয়াড়দের মাঠ ও মাঠের বাইরের মানসিকতা বোঝা জরুরি। একই সঙ্গে জানিয়েছেন প্রথমেই সোনার স্বপ্ন দেখলে তা পূরণ করা সম্ভব নয় । প্রথমে ব্রোঞ্জ, তারপর রূপো এবং ধাপে ধাপে সোনা জয় করা সম্ভব ।