কলকাতা, 24 মার্চ : বাঙ্গুর গোষ্ঠীর বিনিয়োগে খুলেছিল আইএসএলের দরজা । তড়িঘড়ি দল গঠন করে খেলতে নেমে সাফল্য আসেনি । নতুন মরসুমে শক্তিশালী দল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হলেও তাতে জোরালো হাওয়া লাগছে না ক্লাবের সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষর না হওয়াতে।
আইএসএল শেষ হয়েছে । কিন্তু চুক্তি বিতর্ক ক্রমেই বড় হয়ে চলেছে । ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সাবেক কর্তারা নানান যুক্তি জাল বিছিয়ে চূড়ান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করা নিয়ে ফন্দি ফিকির করে চলেছেন । ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার সোমবার প্রকাশ্যে চুক্তি জট নিয়ে মুখ খুলেছিলেন । সেখানে মউ চুক্তি এবং চূড়ান্ত চুক্তির খসড়ার মধ্যেকার পার্থক্য নিয়ে সরব হয়েছেন । পুরো বিষয়টি লাল হলুদ জনতার দরবারে নিয়ে গিয়ে রায় নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। যদিও ইস্টবেঙ্গলের ক্লাব প্রেসিডেন্ট প্রণব দাশগুপ্ত সমস্যা চলতি সপ্তাহে আলোচনার মধ্যে দিয়ে মিটিয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের আশ্বাস দিয়েছেন । কিন্তু বিনিয়োগ সংস্থার তরফে এই ব্যাপারে পদাধিকারীরা মুখ খুলছিলেন না । মঙ্গলবার রাতে প্রথমবার ক্লাব এবং বিনিয়োগ সংস্থার মধ্যে পাকিয়ে ওঠা জট নিয়ে মুখ খুললেন হরিমোহন বাঙ্গুর । এসসি ইস্টবেঙ্গলের চেয়ারম্যান বলছেন, "আমরা কাউকে বিরক্ত করতে আসিনি । বরং ক্লাবকে জিজ্ঞাসা করা হোক তারা কি চায় । ক্লাব কর্তারা আমাদের সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন কি না সেটা পরিষ্কার করে জানিয়ে দিক । উত্তরটা হ্যাঁ কিংবা না যাই হোক না কেন, দ্রুত জানানো হোক । আমরা জোর করে গাটছড়া বাঁধতে আসিনি ।"
বলা হচ্ছে মউ চুক্তিপত্রের সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তিপত্রের বিস্তর তফাৎ । ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা সেটাই জোর গলায় দাবি করছেন । বলছেন, তাঁরা ক্লাবকে বিক্রি করার অধিকারী নন । ব্যবহার করার স্বত্ত্ব তুলে দিতে পারেন মাত্র এবং ইতিমধ্যে আশি শতাংশ অংশীদারিত্ব ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে তাঁরা সম্মত । এমনকি বাঙ্গুরদের প্রশংসা করে দুপক্ষের সম্পর্কে তৃতীয় কাঁটার কথা বলেছেন লাল হলুদ শীর্ষকর্তা ।