কলকাতা, 1 অক্টোবর :বল গড়ানোর আগেই ইস্টবেঙ্গলের অভ্যন্তরে অশান্তির আঁচ । এবার যুযুধান প্রতিপক্ষ ক্লাব এবং বিনিয়োগ সংস্থা। এই অশান্তির কেন্দ্রস্থল গত মঙ্গলবারের ক্লাব সদস্যদের এক্সট্রাঅর্ডিনারি জেনারেল মিটিং। যেখানে সদস্যদের একাংশ ক্লাবের সংবিধানের 12D, 13এবং 18নম্বর ধারা তুলে বিরোধিতা ক্লাবের ইনভেস্টর নিয়ে বিরোধিতা করেছেন ।
ফের ইনভেস্টারের সঙ্গে অশান্তির আঁচ ইস্টবেঙ্গলে - East Bengal
কোম্পানি নির্ভর ক্লাব নয়। সদস্যদের অধিকারের মর্যাদা দিয়ে ক্লাবের ভবিষ্যৎ পথ নির্ধারন করতে হবে । সদস্যদের তরফে এই দাবিতে অসন্তুষ্ট নবাগত বিনিয়োগ সংস্থার কর্তারা। ইতিমধ্যে তিনি পুরো বিষয়টিকে চুক্তি ভঙ্গ হিসেবে দেখছেন।
এই তিন ধারার সারাংশ, কোম্পানি নির্ভর ক্লাব নয়। সদস্যদের অধিকারের মর্যাদা দিয়ে ক্লাবের ভবিষ্যৎ পথ নির্ধারন করতে হবে । সদস্যদের তরফে এই দাবিতে অসন্তুষ্ট নবাগত বিনিয়োগ সংস্থার কর্তারা। ইতিমধ্যে তিনি পুরো বিষয়টিকে চুক্তি ভঙ্গ হিসেবে দেখছেন। বৃহস্পতিবার বিনিয়োগ সংস্থার অন্যতম কর্তা বলেছেন আগামী দু’দিন সবকিছু তাঁরা খতিয়ে দেখবেন। আপাতত যাবতীয় কাজ বন্ধ থাকবে।
মঙ্গলবার সভার পরে ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন বিনিয়োগ সংস্থার তরফে পাঠানো চুক্তিপত্রের আইনি বিষয়টি দেখার কাজ চলছে। শীঘ্রই তা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এইকথার 48 ঘণ্টা পরেও ইস্টবেঙ্গলের নতুন কোচ এবং দলগঠন নিয়ে কথা বলা হয়নি বা ঘোষণা হয়নি । বিনিয়োগ সংস্থার তরফে বলা হয়েছে আগামী দুদিনের মধ্যে এই ব্যাপারে কথা বলা হবে। তখনই পুরো ছবি পরিষ্কার হবে । তাই বলাই যায় ক্লাব কর্তাদের ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার ইচ্ছে এবং তা নিয়ে বিনিয়োগ কিংবা স্পনসর সংস্থার সঙ্গে কথার খেলাপ করার পুরোনো রোগে ফের অশান্তির ঘূর্নাবর্তে ইস্টবেঙ্গল।