কলকাতা, 6 জুন : 20 মাস আগে দর্শক ঠাসা যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণে অভ্রংলিহ প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছিল সুনীল ছেত্রীর ভারতীয় দল । পিছিয়ে পড়ে সেদিন কোনও রকমে ড্র করে মাঠ ছেড়েছিল ভারত । বিধিনিষেধের কড়া লক্ষণরেখায় দর্শক ঠাসা স্টেডিয়াম এখন সুখস্মৃতি মাত্র । নিয়ম মেনে কার্যত বিচ্ছিন্ন জীবন কাটিয়ে ফুটবলাররা এখন খেলতে নামেন । দোহায় ভারত বনাম বাংলাদেশ দুই প্রতিবেশী দেশের ফুটবল যুদ্ধ আদতে চিরকালীন উত্তেজনায় ঠাসা । দুই দেশের সামনে কাতার বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনের আশা নেই । তবে এশীয় কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিতে এই ম্যাচের গুরুত্ব রয়েছে । গত 20 বছরে ভারতের বিরুদ্ধে জয় পায়নি জামাল ভুঁইঞার বাংলাদেশ । যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণে সেই বন্ধ্যা দশার সমাপ্তি ঘটত যদি না আদিল খান 88 মিনিটে ভারতকে সমতায় ফেরাতেন ।
কাতারের বিরুদ্ধে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে দশজনে খেলে ভারত 0-1 গোলে পরাজিত হয় । তবে ইগর স্টিমাচের দলের ছেলেদের মরিয়া লড়াই এবং গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিং সান্ধুর অনবদ্য লড়াই প্রশংসা কুড়িয়েছে । ফলে হারের ধাক্কা নয়, বরং মরিয়া লড়াইয়ের মানসিকতার পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে এশীয় কাপের যোগ্যতা অর্জনের কাজটা এগিয়ে রাখতে চান সুনীল ছেত্রীরা ।
এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে 16 বার জয় পেয়েছে ভারত । শক্তিশালী কাতারের বিরুদ্ধে কিছুটা বাধ্য হয়ে রক্ষণাত্মক কৌশল নিয়েছিলেন স্টিমাচ । সোমবার পরিস্থিতি ভিন্ন । ভারত এক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ বাংলাদেশের থেকে বিশ্ব ক্রমতালিকায় 79 ধাপ ওপরে । বাংলাদেশ কোচ মানছেন প্রতিপক্ষ ভারত খাতায় কলমে এগিয়ে । তবে দুই প্রতিবেশীর লড়াই ক্রমতালিকার অবস্থানের ওপর নির্ভর করে না । বাংলাদেশের অধিনায়ক এই ম্যাচটিকে সম্মানের যুদ্ধ বলেছেন । আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে ড্র করায় অনেক আত্মবিশ্বাসী তাঁরা । ফলে ভারতের বিরুদ্ধে ফের কড়া লড়াই ছুড়তে চান ।