কলকাতা, 25 সেপ্টেম্বর : প্রশাসনিক স্তরে রদবদল ঘটিয়ে নতুনভাবে যাত্রা শুরুর চেষ্টা শুরু হয়েছিল মহমেডান ক্লাবে। আই লিগ দ্বিতীয় ডিভিশন ফুটবল লিগে অংশ নেওয়ার জন্য শক্তিশালী দল গঠন করা হয়েছে। প্রস্তুতিও চলছিল জোরকদমে। ইনভেস্টরের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার কথাও দ্রুত ঘোষণার কথা বলা হচ্ছিল। কিন্তু তা এখন স্থগিত। কারণ এরই মধ্যে বিতর্কের গন্ধ রেড রোডের ধারের শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবে। যা তাদের ফের বড়সড় সমস্যার দিকে ঠেলে দিতে চলেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ময়দানের খবর CBI দপ্তরে ডাক পড়েছে সাদাকালো কর্তাদের। খবর ঘিরে জল্পনার পারদ চড়তে থাকে। নবনির্বাচিত সচিব ওয়াসিম আক্রম সবে নতুনভাবে ক্লাবকে অন্য দিশা দেখানোর চেষ্টা করছেন। এই ব্যাপারে অনেক রাতে সাদাকালো শিবিরের সচিব ওয়াসিম আক্রমকে ফোনে ধরা হলে তিনি বলেন,"ইনভেস্টর বা স্পনসর আগ্রহী হয় ব্যবসার জন্য। তারা একটা ক্লিন ইমেজ বা স্বচ্ছ ভাবমূর্তি খোঁজে । এই অবস্থায় বর্তমান তারা কতটা আগ্রহী হবে আমি জানি না।"
সমস্যার কেন্দ্রবিন্দু না কি বছর দশেকের পুরোনো । সম্ভবত 2010 সালে তদানীন্তন ক্লাব প্রশাসনের কয়েকজন চিটফান্ড কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন। প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো সেই সময় মহমেডান ক্লাব সচিব ছিলেন প্রয়াত সুলতান আমেদ। একযুগ পরে সেই তদন্তের ফাইল ঝেড়ে বার করতেই না কি মহমেডান স্পোর্টিং এর বর্তমান সচিব কে ডেকে পাঠানো হয়েছে। এই অবস্থায় কী হবে পদক্ষেপ? ওয়াসিম আক্রম বলছেন,"সবার আগে ক্লাব। তার ভালোর জন্য আমাকে সরে যেতে হলে রাজি আছি। তবে দেশের আইন ব্যবস্থার ওপর আস্থা রয়েছে। আশাকরি সঠিক বিচার পাব।"
পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে শুক্রবার বিকেলে আলোচনায় বসতে চলেছেন সাদাকালো কর্তারা।" আশাকরি তদন্ত তার পথে এগোবে। ক্লাবের ফুটবল বিষয়ক কাজে প্রভাব ফেলবে না,"বলেছেন অর্থসচিব শারিক আহমেদ। এর পাশাপাশি ফুটবলারদের কোভিড টেস্টের যে রিপোর্ট এসেছে তাতে দলের বর্ষীয়ান মিডফিল্ডারের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। তাঁকে চারদিনের জন্য আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।আকস্মিক সমস্যায় মহমেডানে চিন্তার ঘূর্ণাবর্ত ।