কলকাতা, 30 জুলাই : রাজনৈতিক জীবনে তাঁকে ঘিরে নানান মিথ । সাতের দশকে দক্ষিণপন্থী রাজনীতিতে অমর আকবর অ্যান্টনি ছিলেন সোমেন, প্রিয়রঞ্জন, সুব্রত । ছাত্র যুব আন্দোলনে ভর দিয়ে বৃহত্তর রাজনীতিতে প্রবেশ তিনজনের । প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি পরবর্তী সময়ে দক্ষ সাংসদ হিসেবে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে নিজেকে মেলে ধরেছিলেন ৷ বাকি দু’জন সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং সোমেন মিত্র রাজ্য রাজনীতিতে নিজেদের বিস্তার বাড়িয়েছেন ।
পরবর্তী সময়ে মতপার্থক্য হয়েছে, দল বদলেছেন এই তিন মূর্তি । রাজনৈতিক মতাদর্শ আলাদা হলেও একটি জায়গায় এই তিনজন ছিলেন একসুতোয় বাঁধা । প্রিয়, সোমেন ও সুব্রত তিনজনই ফুটবল ভালোবাসতেন । প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি ছিলেন ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি । ফিফায় প্রতিনিধিত্ব পর্যন্ত করেছেন । সুব্রত মুখোপাধ্যায় মোহনবাগান অন্ত প্রাণ । মোহনবাগান অ্যাথলেটিক্স ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট । দলের খেলা ব্যস্ততার ফাঁকেও দেখতে চলে আসেন ।
আর ইস্টবেঙ্গলের প্রতি দূর্বলতা ছিল সোমেন মিত্রর । তিনি মোহনবাগানেরও সদস্য ছিলেন । ক্লাবের শেষ নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন । তবে আমহার্স্ট স্ট্রিটের ছোড়দার মনটা ইস্টবেঙ্গলের প্রতি একটু বেশি নরম ছিল । বিধানসভায় শেষবারের মতো সোমেন মিত্রর প্রবেশ করল । অনুগামীদের ভিড়ে তাল সামলানো দায় । বিধায়করা শেষ শ্রদ্ধা জানালেন । বিধানসভাতেই লাল হলুদ পতাকায় মুড়ে দেওয়া হল সোমেন মিত্রর দেহ ।