কলকাতা, 25 নভেম্বর : কোভিড মাখা 2020-তে একের পর এক প্রিয়জন, পরিচিতদের হারিয়ে তখন ধ্বস্ত সাধারণ মানুষ ৷ সঙ্গে ভিন্ন জগতের প্রিয় তারকাদের মৃত্যুসংবাদ যেন আরও অভিশপ্ত করে তুলেছিল 2020-কে ৷ মাসটা নভেম্বর ৷ 2020 বিদায় নিতে তখনও বাকি একমাসের একটু বেশি ৷ 25 নভেম্বর ফুটবলের আকাশ থেকে খসে পড়ল এক জ্য়োতিষ্ক ৷ তামাম অনুরাগীদের কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা ৷
1986 আলবিসেলেস্তেদের জুলেরিমে কাপ জয় ৷ গোল অফ দ্য সেঞ্চুরি ৷ ঝাকরা চুলের দিয়েগোর বিশ্বজয়ে রোমাঞ্চ মিশে রয়েছে পরতে-পরতে ৷ নীল-সাদা জার্সি যতদিন থাকবে দিয়েগো হয়ে থাকবেন তার অবিসংবাদী নায়ক ৷ যিনি তাঁর ফুটবলশৈলী দিয়ে বশ করে নিয়েছিলেন ইটালির গোটা একটা শহরকে ৷
1984 সালে দিয়েগো বার্সেলোনা ছেড়ে যখন নাপোলিতে এসেছিলেন , ইতালির ক্লাব তখন দেশের প্রিমিয়র লিগে টিকে থাকার লড়াই চালাচ্ছে ৷ মারাদোনা এসে তাঁর জাদুকাঠিতে বদলে দিয়েছিলেন সবকিছু ৷ আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ এনে দেওয়ার পরের বছরেই নাপোলিকে ইটালি সেরা করেছিলেন বাঁ-পায়ের জাদুকর ৷ 1988-89 উয়েফা কাপ জিতেছিল তারা ৷ 1990 আবার ইটালি সেরা নাপোলি ৷ ব্যস ওইটুকুই ৷
প্রথম মৃত্য়ুবার্ষিকীতে ফিরে দেখা ফুটবলের রাজপুত্রকে আরও পড়ুন : cuban woman accuses maradona of rape : মৃত্যুর পরও বিতর্কে মারাদোনা, দু’দশক আগের ধর্ষণের অভিযোগে সরব যুবতী
1991 ডোপ টেস্টে ধরা পড়ে রাতের অন্ধকারে নাপোলি ছেড়েছিলেন দিয়েগো ৷ তারপর থেকে আজও নাপোলি তার হৃত সম্মান পুনরুদ্ধারের চেষ্টায় ৷ আজ একবছর হয়ে গেল নাপোলি তো বটেই, মারাদোনাহীন বিশ্ব ফুটবল ৷ বাড়ির বাথরুমে পড়ে গিয়ে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ৷ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর বাড়িতেও ফিরেছিলেন ৷ কিন্তু হৃদরোগ হঠাৎই কেড়ে নিল বিশ্বফুটবলের 'হ্যান্ড অফ গডে'র স্রষ্টাকে ৷ ইহলোকের রাজ্যপাট চুটিয়ে গতবছর এই দিনেই দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা পাড়ি দিয়েছিলেন তারাদের দেশে ৷