ইম্ফল, ২৩ জানুয়ারি : পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষস্থান আরও মজবুত করল মোহনবাগান । মণিপুরের টিম নেরোকা FC-কে 3-0 গোলে উড়িয়ে আই লিগ জয়ের দিকে আরও এক ধাপ এগোল সবুজ-মেরুন ৷ নংডেম্ব নওরেম, পাপা বাবা দিওয়াড়া এবং তুর্সনোভ সবুজ মেরুনের স্কোরার ৷ এই জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকা পঞ্জাব FC-র থেকে ছয় পয়েন্টে এগিয়ে গেল মোহনবাগান ৷ 9 ম্যাচ খেলে মোহনবাগানের পয়েন্ট 20 ৷
ময়দানের প্রচলিত প্রবাদ আছে, ডার্বি জয়ের পরই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ঘিরে ধরে ফুটবলারদের ৷ ফলে ডার্বির পরের ম্যাচে মুখ থুবড়ে পড়ার রেকর্ডই বেশ উজ্জ্বল ৷ সেই প্রচলিত প্রবাদ ধীরে ধীরে ক্লিশে হয়ে আসছে ৷ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলকে হারানোর পর বৃহস্পতিবার নেরোকাকে তাদের ঘরের মাঠে দুরমুশ করল কিবু ভিকুনার দল ৷
গত কয়েক বছরে ডার্বির সাফল্য ভুলে নতুন স্ট্যান্স নেওয়াই এখন মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গলের অভ্যাস । তা যে খুব একটা ভুল নয় তা নেরোকা FC-এর বিরুদ্ধে প্রমাণ করল কিবু ভিকুনার ছেলেরা । স্কোরবোর্ড বলছে, তিন গোল এবং তিন পয়েন্ট মোহনবাগানের । তাই নঙডম্বা নওরেমের ডার্বি পরবর্তী ম্যাচেও গোল করে এবং করিয়ে ক্ষুরধার হয়ে ওঠা, জোসেবা বেইতিয়ার স্কিলের মায়াজাল ছড়ানো, পাপা দিওয়াড়ার বুদ্ধিদীপ্ত ফুটবলে দলকে আক্রমণে নেতৃত্ব দেওয়া এবং পরিবর্ত হয়ে মাঠে নেমে তুর্সোনভের স্কোরবোর্ডে নাম তোলাতেই মোহনবাগানের দাপট প্রমাণিত ।
নেরোকার বিরুদ্ধে গোলের পর পাপা দিওয়াড়া (সৌজন্য-@ILeagueOfficial) আজ ম্যাচের শুরু থেকেই নেরোকার উপর চাপ বাড়াতে থাকে সবুজ মেরুন ৷ যদিও পাহাড়ের দলটির সজাগ রক্ষণ কলকাতার দলটিকে স্কোর করার সুযোগ দেয়নি ৷ অবশ্য প্রথম গোল পাওয়ার অপেক্ষা দীর্ঘ হয়নি ৷ প্রথমার্ধের 25 মিনিটের মাথায় নঙডোম্বা নওরেমের গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান ৷ 1-0 গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ভিকুনার দল ৷ দ্বিতীয়ার্ধে 52 মিনিটের মাথায় নওরেমের পাস থেকে দ্বিতীয় গোল করে ব্যবধান বাড়ান পাপা বাবা দিওয়াড়া ৷ ডার্বির মতো আজও হেডে গোল করেন পাপা ৷ ম্যাচের শেষলগ্নে সবুজ মেরুন জার্সিতে নিজের প্রথম গোল করে নেরোকার কফিনে শেষ পেরেক পোঁতেন নবাগত বিদেশি তুর্সোনভ ৷ জয়ের পাশাপাশি দলের ভালো ফুটবলে খুশি বাগান হেডস্যার ৷
এই জয়ে 20 পয়েন্ট নিয়ে আই লিগ টেবিলে শীর্ষস্থানেই রইল মোহনবাগান ৷ দ্বিতীয় স্থানে থাকা পঞ্জাব FC-এর পয়েন্ট 14 ৷ আই লিগের এগারোটি ম্যাচ এখনও বাকি । কিন্তু তা সত্ত্বেও বলা যায়, নিকটতম প্রতিপক্ষের চেয়ে খেতাবি দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে মোহনবাগান ।