কলকাতা, 2 অক্টোবর : হেডস্যার আন্তেনিও লোপেজ হাবাসের কড়া নজরদারিতে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের প্রস্তুতি করছে এটিকে-মোহনবাগানে । মাদ্রিদ থেকে দুবেলা কড়া নজরদারিতে প্রীতম কোটাল,জয়েশ রানে,প্রবীর দাসদের অনুশীলন করাচ্ছেন সবুজ মেরুন কোচ।
চলতি বছরের ইন্ডিয়ান সুপার লিগের আসর বসবে গোয়ায়। কোরোনার আবহেও দেশের একনম্বর লিগ আয়োজনের কোনও ত্রুটি রাখা হচ্ছে না। এগারো দলের টুর্নামেন্টে প্রথম দল হিসেবে গোয়ায় পা রেখে এটিকে মোহনবাগান। জৈব বলয়ে কড়া বিধিনিষেধের লক্ষণরেখার মধ্যে দলের কুড়িজন ফুটবলারকে রাখা হয়েছে । ফুটবলারদের কোভেলোসিমের সুন্দর পরিবেশে কুড়িটি কটেজে রাখা হয়েছে । আপাতত শারীরিক সক্ষমতার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। সকালে এবং বিকেলে দলের ফিজিক্যাল ট্রেনার অ্যালভারো রোস বার্নেল অনলাইনে এটিকে-মোহনবাগানের ফুটবলারদের ক্লাস নিচ্ছেন।
অরিন্দম,ধীরজ,সুমিত রাঠেদের শারীরিক সক্ষমতার অনুশীলনে কড়া নজর রাখছেন হাবাস স্বয়ং। সামান্য ভুল ত্রুটি চোখে পড়লে শুধরে নেওয়ার নির্দেশ পাঠাচ্ছেন তিনি। কোরোনার আবহে নিউ নর্মাল লাইফে অনলাইনে স্কুল কলেজের ক্লাস হচ্ছে । ওয়ার্ক ফ্রম হোম এখন নতুন অভ্যাস। কিন্তু আট হাজার কিলোমিটার দূর থেকে অনলাইনে ফুটবলের ফিজিক্যাল ট্রেনিং । সত্যিই অভিনব ।
দুবেলা ঘণ্টা দেড়েক করে ট্রেনিংয়ের অভিজ্ঞতা ভারতীয় ফুটবলারদের কাছে নতুন। শেখ সাহিলের মতো তরুণ ফুটবলার এবং সদ্য যোগ দেওয়া গ্লেন মার্টিনস বলছেন তারা বিস্মিত । শুধু ট্রেনিং করেই রেহাই নেই । ফুটবলারদের খাদ্য তালিকাও মাদ্রিদ থেকে বলে দিচ্ছেন হাবাস । দশ ধরনের খাদ্য তালিকার দিনক্ষণ ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে ।
আপাতত চোদ্দ দিনের নিভৃতবাস পর্ব মিটে যাওয়ার পরে প্রস্তুতির দ্বিতীয় ধাপ শুরু করবেন হাবাস স্যার । দলের বিদেশি ফুটবলারদের যোগদানের পরে নতুন রুটিন শুরু হবে । খেতাব ধরে রাখতে এবং সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণে হাবাস প্রথম থেকে সতর্ক । তাই দুরত্ব বাধাকে বাপি বাড়ি যা বলে কড়া হাতে দলকে বাধছেন ।