কলকাতা, 23 মে: অপেক্ষার পালা শেষ । এবার ঘরে ফেরার বিমান ধরতে দিল্লি রওনা হচ্ছেন মোহনবাগানের তুর্সোনভ । কিরঘিস্থানের ফুটবলারটি লকডাউনের কারণে দেশে ফিরতে পারছিলেন না । 27 মে দিল্লি থেকে দেশে ফেরার বিমান ধরার কথা রয়েছে তাঁর । তবে মোহনবাগানের স্প্যানিশ ব্রিগেডের মত সড়কপথে দিল্লি যেতে হচ্ছে না তুর্সোনভকে । 25 মে থেকে যেহেতু অর্ন্তদেশীয় বিমান চালু হচ্ছে তাই 26 মে বিমান ধরে দিল্লি পৌঁছনোর কথা তাঁর ।
দেশে ফিরছেন তুর্সোনভ, অপেক্ষায় সাইরাস-বাবা দিওয়াড়া - লকডাউন
তুর্সোনোভ ছাড়াও ড্যানিয়েল সাইরাস এবং পাপা বাবা দিওয়াড়া কলকাতায় রয়েছেন । মোহনবাগানের তরফে বলা হয়েছে, এই তিন বিদেশি ফুটবলার দেশে ফেরার বিমান না পাওয়া পর্যন্ত তাদের সব ব্যয়ভার বহন করবে ক্লাব ।
মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ফুটবল বন্ধ । তারপর লকডাউন শুরু হওয়ায় এতদিন ঘরবন্দী ছিলেন । এই অবস্থায় দলের স্প্যানিশ সতীর্থদের চলে যাওয়া ছিল নিঃসন্দেহে হতাশার । তুর্সোনোভ ছাড়াও ড্যানিয়েল সাইরাস এবং পাপা বাবা দিওয়াড়া কলকাতায় রয়েছেন । মোহনবাগানের তরফে বলা হয়েছে, এই তিন বিদেশি ফুটবলার দেশে ফেরার বিমান না পাওয়া পর্যন্ত তাদের সব ব্যয়ভার বহন করবে ক্লাব । 31মে মোহনবাগানের সঙ্গে ফুটবলারদের চুক্তি শেষ হচ্ছে । আইলিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ক্ষেত্রে তুর্সনোভের ভূমিকা অনস্বীকার্য । মরশুমের মাঝপথে পরিবর্ত হিসেবে যোগ দিয়ে দ্রুত মানিয়ে নিয়েছিলেন । কিরঘিস্থানে কোরোনা ভাইরাসের প্রভাব কম । ফলে বিশ্বের অন্য সকল জায়গায় খেলা বন্ধ থাকলেও কিরঘিস্থানে ফুটবল চালু রয়েছে । সেক্ষেত্রে হয়তো ফের নতুন ক্লাবে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন তুর্সোনভ ।
এদিকে ইস্টবেঙ্গলের বাকি তিন বিদেশির দেশে ফেরা নিয়ে জট অব্যাহত । 31 মে চুক্তি শেষ হচ্ছে তাদের । ইস্টবেঙ্গলের বিনিয়োগ সংস্থা জানিয়েছে তারা বিশ্বকাপার ডিফেন্ডার জনি অ্যাকোস্টার দেশে ফেরার ব্যাপারে দায়িত্ব নেবে । কারণ কোস্টারিকার সঙ্গে যোগাযোগের সমস্যা রয়েছে । কিন্তু কাশিম আইদারা এবং স্প্যানিশ ফিজিও কার্লোস নোদারের ফিরে যাওয়ার দায় নেবে না । কারণ ওই দুজনের জন্য দেশে ফিরে যাওয়ার বিমানের ব্যবস্থা হলেও কেন তারা যায়নি, তা বোধগম্য নয় ।