পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / sports

আর্থিক ক্ষতি থেকে বাঁচতে 2 মাসে ISL শেষের পক্ষে সৌরভ - atk

জিন্দাল গোষ্ঠীর মালিকানাধীন বেঙ্গালুরু FC 20 কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ATK একই সমস্যার সম্মুখীন। তারা গত পাঁচ বছরে 120 কোটি টাকা ক্ষতির সামনে পড়েছে।

সৌরভ গাঙ্গুলি

By

Published : Mar 28, 2019, 7:59 PM IST

কলকাতা, 28 মার্চ : ISL-কে দু'মাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে পারলেই আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে দলগুলোকে বাঁচানো সম্ভব। এমনই মনে করেন সৌরভ গাঙ্গুলি।

তিনি নিজে ATK-র মালিক। তাঁর মতে, ISL-এর প্রতিটা দল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। জিন্দাল গোষ্ঠীর মালিকানাধীন বেঙ্গালুরু FC 20 কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ATK একই সমস্যার সম্মুখীন। তারা গত পাঁচ বছরে 120 কোটি টাকা ক্ষতির সামনে পড়েছে। তাই ফুটবল দল চালানো নিয়ে অনীহা শুরু হয়েছে। ATK-র সঙ্গে তাই মোহনবাগানের গাঁটছড়া বাঁধানোর একটা চেষ্টা হয়েছিল।

সৌরভ জানান, চুক্তি এখনও হয়নি। দেখা যাক কী হয়। ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক ATK-র মালিক। তাঁর এই ইঙ্গিত ATK-মোহনবাগান গাঁটছড়া বাধার ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। যদিও মোহনবাগানের তরফে বলা হচ্ছে, তাদের কাছে স্পনসর ও পৃষ্ঠপোষক দুইই রয়েছে। আলোচনা অনেকটাই ফলপ্রসূ। বাস্তবায়ন সময়ের অপেক্ষা।

ময়দানে কান পাতলে অবশ্য অন্য কথা শোনা যাচ্ছে। মোহনবাগান যদি ISL-এ না খেলে তাহলে স্পনসর বা পৃষ্ঠপোষক কেউ হাত বাড়াতে রাজি নয়। তাই সুপার কাপে না খেলার ব্যাপারে জোটের নেতৃত্বে মোহনবাগান। আইলিগ দলগুলোকে নিয়ে ফেডারেশনের বিরুদ্ধে চাপের খেলা সৃষ্টি করতে চাইছে তারা। সেজন্য অন্য দল সুপার কাপে নাম নথিভুক্ত করলেও মোহনবাগান করেনি।

ISL খেলতে হলে প্রথমেই 20 কোটি টাকা ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি ফি দিতে হয়। বছরে মোট 40 কোটি টাকা খরচ হয় দল চালাতে। মোহনবাগান কর্তারা মোটের উপরে অনেক চেষ্টার পরে এবং সচিব টুটু বসুর সাহায্য ধরে 20 থেকে 22 কোটি টাকা নিশ্চিত করতে পেরেছেন। কিন্তু বাকি টাকা জোগাড়ের পথ তাঁরা পাচ্ছেন না। তাই সচিব টুটু বসু তাঁর শেষ চিঠিতে ISL খেলার কথা না বলে দেশের সর্বোচ্চ লিগে খেলার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
এদিকে ইস্টবেঙ্গলকে ATK-র সঙ্গে গাঁটছড়া বাধার একটা চেষ্টা ক্ষীণ হলেও চলছে। তবে তার বাস্তবায়ন কঠিন। কারণ, ইস্টবেঙ্গল কর্তারা জোট ভাঙার পথে এগোলে 11 কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে কোয়েসকে। যা এই মুহূর্তে লাল হলুদ কর্তাদের পক্ষে অসম্ভব। আর কোনও স্পনসর বা পৃষ্ঠপোষক এই দায় নিয়ে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইবেন না।

ক্ষতির অঙ্ক হিসেব করে কোয়েসও জল মাপতে চাইছে। চুক্তি অনুযায়ী তিন বছরের মধ্যে ইস্টবেঙ্গলকে ISL-এ খেলানোর ব্যবস্থা করার কথা কোয়েসের। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভারতীয় ফুটবল একটা সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। তাই এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার পথ কোথায় সেটাই দেখার।

ABOUT THE AUTHOR

...view details