কলকাতা, 19 নভেম্বর : সারা বিশ্বজুড়ে কোরোনা ভাইরাসের দগদগে ঘা । যার ফলে স্বাভাবিকতা নষ্ট হয়েছে । নিউ নর্মাল লাইফে গুছিয়ে তোলার চেষ্টা চলছে । কিন্তু ভয়ে পিছিয়ে থেকে পরিকল্পনার নীল নকশা ছিঁড়ে ফেললে পিছিয়ে পড়া ভবিতব্য হয়ে দাঁড়াতে পারে । ভারতীয় ফুটবলে সেই ছবিটা ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে ।
একটা ফুটবল দল কতটা সমৃদ্ধ তা প্রমাণ করে তার সাপ্লাই লাইনের উপর । বিশ্বের যেকোনও শক্তিধর ফুটবল খেলিয়ে দেশের সাফল্য নির্ভর করে সেই দেশের নিচের তলার ফুটবল প্রতিভার অন্বেষণ এবং তাদের বেড়ে ওঠার উপর । অর্থাৎ প্রতিভা খুঁজে নিয়ে আসার পরে তাদের কীভাবে পরিণত করে তোলা হচ্ছে সেটাই আসল । শুধুমাত্র প্রতিভার নিজস্ব অগ্রগতির উপর নির্ভর করে আধুনিক ফুটবলে কল্কে পাওয়া সম্ভব নয় । এবং সেটা যে কঠোর বাস্তব তা ব্রাজিল, আর্জেন্টিনার মত ফুটবল কুলীন দেশের দিকে তাকালেই বোঝা যাবে । পাশাপাশি জার্মানি, স্পেনের দিকে লক্ষ্য করলে ফুটবলের বদলে যাওয়া ছবি সামনে আসবে ।
ISL-এর চাকচিক্যময় ফুটবলে সবাই মেতে রয়েছে । এখন ভারতীয় ক্লাব ফুটবলে সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট ISL । এছাড়া সারা মরশুম জুড়ে আর কোনও সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতা নেই । ফেডারেশন কাপ বন্ধ করা হয়েছে । রোভার্স, নাগজি ইতিহাসের পাতায় । ডুরান্ড কাপ আয়োজন হলেও তার সেই জৌলুস নেই । IFA শিল্ডেও এখন ভাটার টান । ফলে শুধু মাত্র স্থানীয় লিগ ফুটবল প্রতিভা স্ফুরনের জায়গা । কলকাতা লিগ দেশের অন্যতম সেরা স্থানীয় লিগ । কিন্তু ISL-এ জায়গা করে নেওয়ার পরে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান সেখানে নামতে অনাগ্রহী । যার আভাস ইতিমধ্যে মিলতে শুরু করেছে । ফলে গ্রামগঞ্জের ফুটবল প্রতিভার অন্বেষণ এবং তার মঞ্চায়নের সম্ভাবনা কমে যাওয়ার আশঙ্কা শুরু হয়েছে । খুদে ফুটবলারদের নিয়ে নিয়মিত কাজ করে চলা মনোজিৎ দাস, অনন্ত ঘোষরা বলছেন অতিমারির ধাক্কা ভারতীয় ফুটবলকে পিছিয়ে দিয়েছে । তবে ISL-এ স্থানীয়দের জায়গা পাওয়া কঠিন হবে কি না তা নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করতে রাজি নন তারা ।