পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / sports

লাল-হলুদ ফুটবলাররা আইনি পথ নিলেও সুরাহা নেই সমস্যার - ইস্টবেঙ্গল

লাল-হলুদের বিনিয়োগকারি সংস্থা কোয়েস যে ফুটবলারদের চুক্তি ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা কতটা যুক্তিযুক্ত । ফুটবলাররা কি আইনি পথে পা বাড়ালে লাভবান হবেন ?

লাল-হলুদ ফুটবলাররা আইনি পথে হাঁটলেও সমস্যার সুরাহা হবে না
লাল-হলুদ ফুটবলাররা আইনি পথে হাঁটলেও সমস্যার সুরাহা হবে না

By

Published : Apr 29, 2020, 10:16 PM IST

কলকাতা, 29 এপ্রিল: বিশ্বের বড় বড় ক্লাবগুলো ফুটবলারদের সঙ্গে আলোচনায় বসে মাইনে কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে । কোরোনা ভাইরাস প্যানডেমিকের ফল এটা । এই বিপুল খরচের দায় কোন পথে মেটানো সম্ভব তা ফুটবলার এবং ক্লাব কর্তৃপক্ষকে আলোচনার মাধ্যমে বের করতে বলেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা FIFA । কারণ এই মুহূর্তে ফুটবল লিগ বন্ধ । তবে ফিফা কোনও কিছুই চাপিয়ে দিতে চায় না । দেশের পরিস্থিতি বিচার করে এবং সংশ্লিষ্ট দেশের নির্দেশিকা মেনে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে FIFA ।

এখন প্রশ্ন হল কোনও ফুটবলার যদি আইনের আশ্রয় নেয় সেক্ষেত্রে কী হতে পারে ? সেক্ষেত্রে FIFA-র ক্লাব এবং ফুটবলারদের মধ্যে চুক্তির শর্তাবলী খতিয়ে দেখা হবে । ক্লাবের আর্থিক অবস্থা দেখা হবে । কোন ক্ষেত্রে এই সমঝোতার কথা ফুটবলারকে বলা হয়েছে তা দেখা হবে । পাশাপাশি ফুটবলারটির ক্লাবের সঙ্গে চুক্তির বাইরে উপার্জনের কোনও পথ রয়েছে কি না তাও দেখবে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা । এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে সার্বিকভাবে দুপক্ষই যাতে বঞ্চিত না হয় তা দেখার চেষ্টা করবে তারা ।

এখন প্রশ্ন হল লাল-হলুদের বিনিয়োগকারি সংস্থা কোয়েস যে ফুটবলারদের চুক্তি ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা কতটা যুক্তিযুক্ত । ফুটবলাররা কি আইনি পথে পা বাড়ালে লাভবান হবেন ? এখানে বলা ভালো ভারতীয় ফুটবলে ইস্টবেঙ্গল প্রথম ফুটবলারদের চুক্তি ছেদের প্রক্রিয়া করেছে । তারপর অন্য ক্লাব সেই পথে হেঁটেছে । কোয়েস ফুটবলারদের সঙ্গে আলোচনা না করে মাত্র পাঁচদিনের নোটিসে চুক্তি ছেদের পথে হেঁটেছে । যা সমর্থন যোগ্য নয় । কারণ FIFA পারস্পরিক আলোচনার কথা বলেছে । তবে যেহেতু মাত্র একমাসের মাইনে না দেওয়ার কথা বলা হয়েছে তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ফুটবলারদের আর্জি হালে পানি পাওয়া কঠিন ।

এখানে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে কোরোনা পরিস্থিতির ফলে কোয়েসের শেয়ার দর পড়তে শুরু করেছে । ফলে তারা যে আর্থিক ভাবে ভালো জায়গায় নেই তা প্রমাণিত । কোয়েসের কর্ণধার অজিত আইজ্যাক দ্বিতীয় বছর থেকেই বিচ্ছেদের সুর গাইতে শুরু করেছিলেন । এই মনোমালিন্যের জন্যে ক্লাব কর্তাদের ভূমিকাকে অবশ্য অস্বীকার করা যায় না । তাই কোয়েস বিদায়বেলায় কোরোনা পরিস্থিতি কাজে লাগিয়ে চুক্তি ছেদের পথে হাঁটল তা বলাই যায় ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details