কল্যাণী, 8 ডিসেম্বর : কলকাতায় খেলতে এসে প্রতিপক্ষ স্ট্রাইকার মোহনবাগানের ডিফেন্ডারদের নিয়ে কটাক্ষ করছেন । এই ছবি ময়দানে বিরল । ম্যাচ পরবর্তী সাংবাদিক বৈঠকে সেই কাজটাই করে গেলেন উইলিস প্লাজ়া । জোড়া গোল করে চার্চিলের চার গোলের জয়ের ভিত গড়েছেন । ম্যাচের সেরা তিনি । তাঁর কটাক্ষ খানিকটা স্বাভাবিক ।
প্রতিপক্ষ স্ট্রাইকারের কটাক্ষ মেনে নিলেন মোহনবাগান কোচ কিবু ভিকুনা । ম্যাচ শেষে কিবু ভিকুনা বললেন, চার্চিল ম্যাচ জেতেনি । তাঁর ফুটবলাররা ম্যাচটা উপহার দিয়েছেন । বলের সিংহভাগ দখল তাঁর দলের পায়ে । গোলের সুযোগ সংখ্যায় তাঁরা এগিয়ে । তবুও চার-চারটে গোল তাঁদের বিরুদ্ধে ।
কিবু ভিকুনা বলেন, খেলার আগে তাঁর দল আত্মবিশ্বাসী ছিল । কিন্তু প্রথম দুই মিনিটে প্লাজ়ার গোল তাঁর দলের মনোবল তলানিতে ঠেলে দেয়। এর সঙ্গে গোল নষ্টের খেসারত আর ডিফেন্ডারদের হতশ্রী পারফরমেন্স দর্শকদের আরও হতাশ করেছে । বাগান কোচের মতে, উইলিস প্লাজ়া, রবার্ট জুনিয়র, আবু বক্কর গোল করেছেন বিনা বাধায় ।
মোহনবাগানের এই অসহায় আত্মসমর্পণ শেষ পাঁচ ম্যাচের পরিচিত ছবি । ডুরান্ড, কলকাতা লিগ, শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ এবং আই লিগে সেই ছবি অব্যাহত । এই অসুখের দাওয়াই প্র্যাকটিসে এবং দলের ফুটবলারদের পরিবর্তনের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে বলে মত বাগান কোচের ।
এদিকে কল্যাণী স্টেডিয়াম থেকে "গো ব্যাক" ধ্বনি শুনে মাঠ ছাড়লেন বাগান কোচ । মোহনবাগান দ্রুত জয়ে না ফিরলে কিবু ভিকুনার বিদায় আসন্ন । বুধবার কল্যাণী স্টেডিয়ামে ট্রাও FC-র বিরুদ্ধে খেলবে মোহনবাগান । মাঠের লড়াইয়ের থেকেও মাঠের বাইরের চাপ সামলানো বড় চ্যালেঞ্জ বাগান কোচের ।