কলকাতা, 3 মে: দুঃখ এবং আনন্দ, এই মিশ্র অনুভূতি নিয়ে কলকাতা ছাড়লেন মোহনবাগানের আইলিগ জয়ী কোচ কিবু ভিকুনা । এই কোরোনা আবহে অবশেষে নিজের দেশ, পরিজনদের কাছে ফিরতে পারার জন্য আনন্দ রয়েছে । তবে কলকাতা ছাড়ার আক্ষেপও রয়েছে । নতুন মরশুমে কেরালা ব্লাস্টার্সের কোচ নিযুক্ত হয়েছেন । তাই ভারতে হয়তো ফিরবেন কিন্তু প্রাণের শহর কলকাতার সঙ্গে সম্পর্ক অনেকটাই আলগা হয়ে গেল । তাই বিদায়বেলাতেও কলকাতার জন্য আকুল বছর আটচল্লিশের স্প্যানিশ ভদ্রলোক । যাওয়ার আগে জানিয়ে গেলেন, কলকাতাকে খুব মিস করবেন ।
মোহনবাগানের কোচ হিসেবে ভারতে পা রাখার পর থেকেই কলকাতায় রয়েছেন । একেবারে ভিন্ন পরিবেশের মধ্যে এসে পড়লেও খুব অল্প সময়ের মধ্যে সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছিলেন । এদেশের আবহাওয়া, মানুষজনের আচরণ, অভ্যাসের সঙ্গেও খাপ খাইয়ে নিয়েছিলেন । অজান্তেই এই শহরের সঙ্গে, মানুষজনের সঙ্গে অদৃশ্য বন্ধন তৈরি হয়ে গিয়েছিল তা নিজেও বুঝতে পারেননি । কিন্তু বিদায়বেলায় সেটা অনুভব করেই আবেগপ্রবণ সবুজ মেরুনের আইলিগ জয়ী কোচ ।
কলকাতাকে মিস করবেন, শহর ছাড়ার আগে জানিয়ে গেলেন ভিকুনা
অজান্তেই এই শহরের সঙ্গে, মানুষজনের সঙ্গে অদৃশ্য বন্ধন তৈরি হয়ে গিয়েছিল তা নিজেও বুঝতে পারেননি । কিন্তু বিদায়বেলায় সেটা অনুভব করেই আবেগপ্রবণ সবুজ মেরুনের আইলিগ জয়ী কোচ ।
রবিবার কাকভোরে সারা শহর যখন ঘুমে আচ্ছন্ন তখনই স্পেনের বিমান ধরতে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের স্প্যানিশ ফুটবলাররা । দুই দলের কোচ, ফুটবলার এবং তাদের পরিবার নিয়ে মোট সদস্য সংখ্যা ছিল 22 জনের মতো । মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে ঘরবন্দী কিবু ভিকুনা, মারিও রিবেরারা । ঘরবন্দী অবস্থায় বাড়তি চিন্তা ছিল স্পেনে থাকা পরিবারের জন্যে । তাই আইলিগ বাতিল হতেই স্পেনে ফেরার জন্য মুখিয়ে ছিলেন বেইতিয়া, কোলাডো, ভিক্টর পেরেজ, ফ্রান গঞ্জালেসরা । অবশেষে আজ বাসে করে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন তাঁরা ।
কলকাতায় খেলতে এসে মোহনবাগানের সমর্থকদের ভালোবাসায় মুগ্ধ বেইতিয়ারা । পরিবারের কাছে ফিরতে পারার সুযোগ পেয়ে খুশি হলেও কলকাতাকে মিস করার আক্ষেপ শোনা গেল স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের গলায় । নতুন মরশুমে হয়তো নতুন জার্সি গায়ে চড়াবেন । একাধিক প্রস্তাব থাকলেও এখনও সেই বিষয়ে কিছু ঠিক করেননি, তা জানিয়ে দিয়ে গেলেন । তাঁর মাথায় আপাতত বাড়ি ফেরার চিন্তা । এবং অবশ্যই তা সুস্থ শরীরে ।