কলকাতা, 10এপ্রিল : এ যেন ব্রাত্য জনের রুদ্ধ ফুটবলের উপাখ্যান । লকডাউনের বাজারে বিশ্বজুড়ে ক্রীড়াদুনিয়ার কলড অফ । বিখ্যাত ক্রীড়াবিদরা সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন । সময়োচিত কাজ নিসন্দেহে । কিন্তু প্রদীপের তলার অন্ধকার যে চোখ এড়িয়ে যায় । ফুটবল দুনিয়ায় ভারত তৃতীয় বিশ্ব হলেও ফুটবল আবেগে এই দেশের মানুষ প্রথম শ্রেণির দেশগুলোকে টেক্কা দিতে পারে । তাই পাড়ার ফুটবল টুর্নামেন্ট এখনও এদেশে বিশেষ করে এই বাংলায় আকর্ষণের কেন্দ্রে । আই লিগ এবং ISL-র পাশে কার্যত সমান্তরাল ভাবে চলে এই টুর্নামেন্ট । যার মেঠো নাম খেপ ফুটবল । লকডাউনের ধাক্কায় খেপ ফুটবল এখন বন্ধ । আর তাতে সমস্যায় পড়েছেন দেশি বিদেশি ফুটবলাররা । কলকাতা মাঠে বিদেশি ফুটবলারদের বিজ্ঞাপনে দুই প্রধানের স্প্যানিশরা যদি মুখ হন তাহলে নাইজেরিয়া, আইভরি কোস্ট, লাইবেরিয়া থেকে আগত ফুটবলাররা গুরুত্বপূর্ণ প্বার্শ চরিত্র । এবং কলকাতা ফুটবলে বিদেশিদের সমাদরের আতসকাচে এরা ব্রাত্যজন । ক্রোমা, কামো, ওয়াইডি ওরক ওরক কলকাতা ক্লাব ফুটবলে গায়েগতরের ফুটবলার হিসেবে পরিচিত । কিন্তু খেপ ফুটবলে এরা মুকুটহীন বাদশা ।
খেপের ফুটবলের সঙ্গে জড়িত উল্টোডাঙার বান্টি দে বলছিলেন, ‘‘লকডাউনের বাজারে বড় ধাক্কা লেগেছে খেপের মরশুমে । উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হলেই খেপের টুর্নামেন্ট শুরু । চলত পূজোর আগে পর্যন্ত । নভেম্বর মাসে ফের খেপ ফুটবল শুরু হয়ে শেষ হত ফেব্রুয়ারি মাসে । সাতজন ফুটবলারকে নিয়ে দল গঠিত হয় । কৃষ্ণনগর, বর্ধমান, ধুবুলিয়া, বারুইপুর, কাকদ্বীপ, উল্টোডাঙা, বেলঘড়িয়া, দমদমে এই খেপ ফুটবলে রমরমা ।’’
‘‘খেপের জন্য যারা দল তৈরি করে তার পেছনে ফুটবলকে ঘিরে আবেগ থাকে । সেই কারণে স্থানীয় ফুটবলারদের পাশাপাশি বিদেশিদের নিয়ে দল গড়তেও এরা দুবার চিন্তা করে না ৷’’, বলছিলেন বান্টি । একই সঙ্গে জানিয়েছেন, খেপের মাঠে সবচেয়ে বেশি টাকা নিয়ে থাকে ওয়াইডি এবং ক্রোমা । ছোট আয়োজক হলে ম্যাচ প্রতি 12 হাজার টাকা নিয়ে থাকে এই দুই ফুটবলার । টুর্নামেন্ট বড় হলে ম্যাচ প্রতি 15হাজার টাকা দর হাকে এই দুই ফুটবলার ।