স্মৃতি, পত্নীপ্রেম ও মোহনবাগানের প্রতি ভালোবাসার ত্রিমুখী কোলাজ - Mohonbagan club
আজ ৫০তম বিবাহবার্ষিকীতে মোহনবাগানে আসলেন প্রাক্তন কোচ চাটুনি।
কলকাতা, ১১ ফেব্রুয়ারি : মাটির টানে মোহনবাগানে আসলেন প্রাক্তন কোচ চাটুনি। পঁচাত্তর বছরের মানুষটি বছর কুড়ি আগে কলকাতায় কোচিং করাতে এসেছিলেন। মোহনবাগানের কোচের চেয়ারে বসে এমন এক বিরল কৃতিত্বের অধিকারী হয়েছিলেন যা এদেশের ফুটবলে বিশেষ নেই। আজ ৫০তম বিবাহবার্ষিকীতে ফের এলেন মোহনবাগান মাঠে।
১৯৯৭ সালে মোহনবাগান বছরটা শুরু করেছিল অমল দত্তর ডায়মন্ড ছকের ঝলকানিতে। কিন্তু মরশুমটা বাগান কোচের চেয়ারে বসে শেষ করতে পারেননি তিনি। ফলে কিছুটা টালমাটাল অবস্থায় মোহনবাগানের হাল ধরতে হয়েছিল কেরালার কোচ চাটুনিকে। কেরালার মানুষ হলেও চাটুনি সেবছর কাজ শুরু করেছিলেন সালগাওকরের কোচ হিসেবে। শুধু তাই নয় ব্রুনো কুটিনহোর জোড়া গোলে কলকাতার মাটিতে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে গোয়ার দলকে ফেডারেশন কাপ উপহার দিয়েছিলেন তিনি। সেই মানুষটি বছর শেষ করেছিলেন মোহনবাগানকে জাতীয় লিগ জয়ের গৌরব দিয়ে। একই মরশুমে দুটো ভিন্ন দলের হয়ে দেশের প্রথম সারির টুর্নামেন্ট জয়ের নজির আর কোনও কোচের আছে কি না তা জানা নেই।
সোমবার সেই মানুষটি ফের মোহনবাগান ক্লাবে। উদ্দেশ্য অতীতকে ছুঁতে চাওয়া। পঞ্চাশ বছরের ফুটবল জীবনকে একই মলাটে বন্দী করতে চলেছেন। জাফর খানের কলমে চাটুনির ফুটবল জার্নির গল্প। চাটুনি যখন মাঠে ঢুকেছিলেন তখন দলকে অনুশীলন করাচ্ছেন খালিদ জামিল। মাঠের ধারে উপস্থিত ছিলেন সত্যজিৎ চ্যাটার্জি। প্রাক্তন ছাত্রকে কাছে পেয়ে স্মৃতির সরণি বেয়ে হাঁটলেন,সেই সঙ্গে বসলেন আড্ডায়।
অনুশীলন শেষ হতে আজ চাটুনির সঙ্গে দেখা করলেন সবুজ মেরুন কোচ খালিদ জামিল। সেসময় ক্লাবে উপস্থিত কর্তারা প্রবীণ কোচের হাতে তুলে দিলেন মোহনবাগান জার্সি।
চাটুনি জানিয়েছেন, তিনি তাঁর ৫০তম বিবাহবার্ষিকীতে ফুটবল জার্নি নিয়ে লেখা বই স্ত্রীর হাতে তুলে দিতে চান। সেই উদ্দেশ্যেই কলকাতায় আসা। স্মৃতি, স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা ও মোহনবাগানের প্রতি ভালোবাসার ত্রিমুখী কোলাজ ধরা পড়ল গঙ্গা পাড়ের ক্লাব প্রাঙ্গণে।