বিনিয়োগ সংস্থার সঙ্গে আলোচনার দরজা খোলার চেষ্টায় ইস্টবেঙ্গল

এই ঘটনার পরবর্তী পর্বে বাঙ্গুর গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান হরিমোহন বাঙ্গুর কী সিদ্ধান্ত নেন তার উপর লাল হলুদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে ।

কলকাতা, 2 জুন : ইস্টবেঙ্গল বনাম বিনিয়োগ সংস্থা বাঙ্গুর গোষ্ঠীর চুক্তি স্বাক্ষর বিতর্ক যেভাবে চলেছে তা যেকোনও থ্রিলার মুভিকে লজ্জা দিতে পারে । মঙ্গলবার জরুরি ভিত্তিতে কার্যকরী কমিটির বৈঠকের পরে ইস্টবেঙ্গল সিদ্ধান্ত নিয়েছে চুক্তিতে তারা চূড়ান্ত স্বাক্ষর করবে না । কারণ মউ এবং চুড়ান্ত শর্তাবলীতে বিস্তর ফারাক রয়েছে । এই সিদ্ধান্তের অডিও ক্লিপ সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার পর শোনা যাচ্ছে গভীর রাতে ফের বিনিয়োগ সংস্থাকে চিঠি দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব । সেই চিঠিতে চুক্তি পত্রের শর্তাবলীতে কোথায় ক্লাবের আপত্তি তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ।

এই ঘটনার পরবর্তী পর্বে বাঙ্গুর গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান হরিমোহন বাঙ্গুর কী সিদ্ধান্ত নেন তার উপর লাল হলুদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে । সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সচিব কুশল দাস বলেছেন, স্পোর্টিং রাইটস যার কাছে থাকবে ক্লাব তার । তবে এই বিষয়ে তাঁরা এখনই কোনও মন্তব্য করতে রাজি নন । তারা শুধু নিয়মটা বলতে পারেন । ক্লাবের তরফে প্রেসিডেন্ট ডাক্তার প্রণব দাশগুপ্ত উদ্যোগ নিয়েছেন । বুধবার তিনি বলছেন, "আমি সমস্যা মিটে যাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী । এখনও ফোন বা চিঠি পাঠাইনি ৷ তবে তা দ্রুত করব । ক্লাবের দিকটা আমাকে রক্ষা করতে হবে । এই মতভেদ মেটানো যাবে বলে মনে করি ।" এসসি ইস্টবেঙ্গলের সিইও শিবাজী সমাদ্দার জানিয়েছেন, "চিঠি পেয়েছি । নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে প্রত্যুত্তর দেওয়া হবে ।"

এদিকে এফএসডিএল নতুন মরসুমের জন্য অর্থ এবং ফর্ম পূরণ করার নির্দেশিকা পাঠাবে এবং শেষ দিনের লক্ষণরেখা টেনে দেবে । কারণ তারপর বাঙ্গুর গোষ্ঠী তাদের অপারগতার কথা জানাবে । সংস্থার এক কর্তা বলছেন, "পুরো বিষয়টি এখন চেয়ারম্যানের হাতে । প্রথম থেকেই বলা হয়েছে প্রথমে চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে হবে । বাকি সমস্যা মেটানোর কথা চেয়ারম্যান নিজে আশ্বাস দিয়েছেন । তাই সমস্যা ক্লাব যখন জানাল তখন এত দেরিতে কেন । আগেও বলা হয়েছে, বাঙ্গুর গোষ্ঠী ক্লাব দখল করতে আসেনি । ক্লাবের উন্নতি এবং সদস্যদের অধিকার রক্ষা তাদের একমাত্র লক্ষ্য ।" এই অবস্থায় পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে উঠেছে । ইস্টবেঙ্গলের ভবিষ্যৎ তাই আরও অন্ধকারে । একই সঙ্গে ক্লাব প্রেসিডেন্ট এবং এসসি ইস্টবেঙ্গলের সিইও-র বক্তব্যে আলোচনার দরজা খোলার একটা চেষ্টা রয়েছে । যা লাল হলুদ জনতার কাছে আশার আলো ।