কলকাতা, 18 মার্চ : বুধবার সন্ধ্যায় ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কার্যকরী কমিটির সদস্যরা আলোচনায় বসেছিলেন। বৈঠকের অ্যাজেন্ডা কী ছিল ? তার থেকেও বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে বিনিয়োগ সংস্থা এবং ক্লাবের চুড়ান্ত চুক্তি। সদস্য সমর্থকদের মনে ক্লাবের ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ নিয়ে যে দোলাচল রয়েছে তা বুঝতে পারছেন সবাই। তাই বিনিয়োগ সংস্থার সঙ্গে চুড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টি আলোচনার তালিকায় না থাকলেও, তা নিয়ে বন্ধ দরজার আড়ালে প্রায় তিন ঘণ্টার বেশি সময় ব্যয় করলেন লাল হলুদ কর্তারা।
এফএসডিএলের মধ্যস্থতায় বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বৈঠকে রাজি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা
শ্রী সিমেন্ট সংস্থার সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের চুক্তি স্বাক্ষরের জটিলতা নিয়ে এবার আলোচনায় বসল ক্লাব কর্তারা ৷ সেই নিয়েই বুধবার সন্ধ্যায় বৈঠকে বসেছিলেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কার্যকরী কমিটির সদস্য়রা ৷ জানা গিয়েছে, এফএসডিএলের প্রতিনিধি তরুণ ঝুনঝুনওয়ালার মধ্যস্থতায় শ্রী সিমেন্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা ৷
ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের বিনিয়োগ সংস্থার দাবি ক্লাবের তরফে চুক্তিতে চুড়ান্ত স্বাক্ষর করার উদ্যোগ নেই। এককথায় ক্লাব কর্তারা এই বিষয়ে কোনও উদ্যোগ নিচ্ছেন না। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল সচিব বলছেন, তাদের পাঠানো শেষ চিঠিতে ক্লাবের অবস্থান স্পষ্ট করা হয়েছে । তারপর বিনিয়োগ সংস্থার তরফে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি । অর্থাৎ একটা অচলাবস্থা চলছে বা তথ্যের ফাঁক থাকছে তা বোঝাই যাচ্ছে । বুধবার মিটিংয়ের শেষে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার জানিয়েছেন, গত বছর 2 ডিসেম্বর ক্লাবের অবস্থান জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তার উত্তর মেলেনি । এখন অচলাবস্থা কাটাতে এফএসডিএলের প্রতিনিধি তরুণ ঝুনঝুনওয়ালার কাছে আর্জি জানানো হয়েছে । ক্লাবের অবস্থান স্পষ্ট করা হয়েছে । তিনি যদি বৈঠক ডাকেন, তাহলে যোগ দিতে আপত্তি ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের ।
আরও পড়ুন : হোলির সময়ে বাঙ্গুর গোষ্ঠীর সঙ্গে বৈঠক করবেন লাল হলুদ প্রেসিডেন্ট
বিনিয়োগ সংস্থার কর্ণধার হরিমোহন বাঙ্গুর এবং তাঁর পুত্র প্রশান্ত বাঙ্গুর চলতি মাসের শেষে দোলের সময় সম্ভবত ভারতে আসছেন। সেই সময় ইস্টবেঙ্গলের সভাপতি ডা. প্রণব দাশগুপ্তের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে ক্লাব কর্তাদের । হয়তো সেই বৈঠকেই স্পষ্ট গহে ক্লাবের অবস্থান কোন পথে এগোবে। তবে, এদিন মিটিংয়ে কী আলোচনা হয়েছে, সেই ব্যাপারে মুখ খুলতে রাজি হননি ক্লাব সভাপতি । কার্যত ব্যস্ততার কথা বলে এড়িয়ে গিয়েছেন। তাই বলা যায় বাকযুদ্ধ, অনড় অবস্থানে ক্ষতি ক্লাবের । যা হয়তো দুপক্ষই বুঝতে পারছে। কিন্তু কীভাবে বরফ গলবে তার উপায় অধরা।