কলকাতা, 18 জুলাই : লগ্নিকারীদের পাঠানো চূড়ান্ত চুক্তিপত্র স্বাক্ষর না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইস্টবেঙ্গলের কার্যকরী কমিটির সদস্যরা । তাই বলে জট খোলার সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেল এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই । ক্লাবের ফুটবল সচিব সৈকত মজুমদার বলেন,"আলোচনা শেষ হয়ে যায়নি । বরং আলোচনা চলছে সমস্যা সমাধানের । বেশ কয়েকটি বিষয়ে আমাদের আপত্তি রয়েছে । যা সদস্য-সমর্থকদের পক্ষে অসম্মানজনক । তাই আশা করব আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান হবে । " ইতিমধ্যেই বিচ্ছেদের আশঙ্কা ক্লাবের সদস্য-সমর্থকদের মধ্যে ঘুরছে । ক্লাবের সহ-সচিব রূপক সাহা বলেন, " চুক্তি অনুযায়ী মরসুমের মধ্যে কোনও পক্ষই বিচ্ছেদের রাস্তায় হাঁটতে পারবে না । "ক্লাব কর্তারা বেসরকারিভাবে মউ চুক্তি এবং চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে বিচ্ছেদের শর্তাবলীর পার্থক্য সামনে নিয়ে এসেছে ।
সেখানে দেখা যাচ্ছে, মউ চুক্তিতে তিনমাসের আগাম নোটিসে বিনা অর্থের বিনিময়ে ক্রীড়াস্বত্ত্ব ফিরিয়ে দেওয়ার কথা রয়েছে । কিন্তু চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে বলা হয়েছে বিচ্ছেদ হলে নতুন সংস্থার কাছ থেকে ক্লাবকে অর্থের বিনিময়ে ক্রীড়াস্বত্ত্ব কিনতে হবে । ক্লাবের প্রশ্ন, স্বত্ব ফিরে পেতে কেন অর্থ ব্যয় তাদের করতে হবে? এখানেই বিনিয়োগ সংস্থার ব্যাখ্যা, তারা যদি বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তাহলে প্রথমে ক্লাবকে প্রস্তাব দেওয়া হবে । ক্লাব অপারগ হলে নতুন লগ্নিকারী খুঁজে তারা তা হস্তান্তর করবে । এরকম বেশ কয়েকটি শর্ত নিয়ে ক্লাবের আপত্তি রয়েছে । কার্যকরী কমিটি এই চুক্তি স্বাক্ষর না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনবছর হয়ত মাঠ থেকে দূরে থাকবেন । কিন্তু তারা ক্লাবকে তিনশো বছরের জন্য স্বাধীন রাখবেন । যেখানে ক্লাবের সমর্থকরা সম্মান নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে ।