কলকাতা, 15 জুন: প্রবল চাপের মধ্যে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব । দিন যত গড়াচ্ছে আইএসএলে লাল হলুদ জার্সিকে এই মরসুমে দেখা যাবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন বিরাট আকার ধারণ করছে । ইতিমধ্যে দেশের সর্বোচ্চ লিগে লাল হলুদের অনুপস্থিতির সম্ভাবনা ঘিরে সদস্য-সমর্থকদের প্রশ্নের মুখে কর্তারা । তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় বইয়ে দিচ্ছেন । সেই সমালোচনার ভাষাও প্রায় সময় শালীনতার সীমা লঙ্ঘন করেছে ।
গত 24 ঘণ্টায় সেই বিক্ষোভ রাস্তায় নেমেও এসেছে । অবস্থার চাপ প্রবল বুঝতে পেরে উপায় খুঁজতে ক্লাবে কার্যকরী কমিটির সদস্যরা সোমবার সন্ধ্যায় আলোচনায় বসেছিলেন । যদিও বলা হচ্ছে বর্তমানে ক্লাবের নেতৃত্বে যে সমাজসেবামূলক কর্মসূচি চলছে তার অর্থের যোগান কীভাবে হবে তা নিয়ে কথা হয়েছে । তবে বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, আসলে লগ্নিকারী সংস্থা সম্পর্ক ছিন্ন করলে প্রাথমিক আর্থিক চাপের একটা হিসাব কর্তারা আলোচনার মধ্যে দিয়ে বুঝতে চাইছেন । মনে করা হচ্ছে প্রাথমিকভাবে তিনকোটি টাকা যোগাড় সম্ভব হলে ফিফার ফুটবলার নেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা এড়ানো যাবে ।
ইতিমধ্যে লগ্নিকারী সংস্থা কার্যত জানিয়ে দিয়েছে ক্লাব যদি 15 জুন মঙ্গলবারের মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর না করে তাহলে তারা বিচ্ছেদের পথে হাঁটবে । এর ফলে সত্যিই বিচ্ছেদ হলে অবস্থা কী হবে তা ভেবে কর্তারা আশঙ্কিত । কারণ স্পোর্টিং রাইটস ফিরে পেতে হলে হয়তো লগ্নিকারীর বিরাট আর্থিক দাবি মেটাতে হবে । এমনকি ক্লাব বিষয়টি মেটাতে অস্বীকার করলে আদালতের হস্তক্ষেপেরও সম্ভাবনা রয়েছে । এদিকে এফএসডিএল পুরো ঘটনা প্রবাহের দিকে নজর রাখছে । 16 জুন বুধবার তাদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক রয়েছে । 17 জুন আইএসএলে খেলার ফি জমা দেওয়ার শেষ দিন ।
আরও পড়ুন: সুযোগ মিসের খেসারত, সুইডেনের বিরুদ্ধে গোল শূন্য ড্র স্পেনের
ইস্টবেঙ্গল যদি সত্যিই না খেলে তাহলে বিকল্প দল বেছে নিতে হবে এফএসডিএলকে । ইস্টবেঙ্গল কর্তারা চূড়ান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর না করার সিদ্ধান্তে এখনও অবধি অনড় রয়েছে । সোমবার ক্লাবের সন্ধ্যার বৈঠক সমাজ সেবার আর্থিক যোগান নিয়ে হয়েছে শুনে অনেকেই ক্ষুব্ধ । বলছেন, একশো বছরের ক্লাবের খেলাধুলো অস্তাচলে যাওয়ার উপক্রমতা দেখেও কর্তাদের সমাজসেবা নিয়ে বৈঠক সমালোচনার অযোগ্য । তাই মঙ্গলবার ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে লগ্নিকারীর বিচ্ছেদ না চুক্তি স্বাক্ষর, অপেক্ষা ছাড়া গতি নেই ।