কলকাতা, 19 এপ্রিল: অলিম্পিক যদি একবছর পিছিয়ে যেতে পারে, IPL যদি স্থগিত হতে পারে তাহলে কলকাতা লিগ চলতি বছরে বন্ধ করা যাবে না কেন ? রাজ্য ফুটবল নিয়ামক সংস্থার একটি অংশের এই যুক্তিতে এখন বিতর্ক ময়দান জুড়ে ।
চলতি বছরে কলকাতা মাঠে বল গড়ানো যে বড় সমস্যা তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই । কারণ অন্যান্য বছর বারপুজোর পর ময়দানের পাঁচটি ডিভিশনের ক্লাব মাঠে নামার তোড়জোড় শুরু করে । যাতে মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে দল গুছিয়ে পঞ্চম ডিভিশন লিগ শুরু করা যায় । এরপর বাকি লিগের বল গড়ানো শুরু হয় । জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহে কলকাতা লিগের প্রিমিয়ার এ এবং বি ডিভিশনের খেলা শুরু হয় । বর্তমানে যা পরিস্থিতি তাতে একমাত্র প্রিমিয়ার ডিভিশনের দুটো গ্রুপ করা হয়তো সম্ভব । সেইরকমই একটা চেষ্টা চলছে । IFA সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায় সেই ইঙ্গিতই দিয়েছেন । কারণ চলতি বছরে IFA স্পনসর দেরিতে পেয়েছে । বল যদি না গড়ায় তাহলে স্পনসর কানাকড়িও দেবে না । তাই লিগ শুরু হওয়া জরুরি ।
সচিবের এই মতকে সমর্থন জানাচ্ছেন IFA চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত । পরিস্থিতির উপর নজর রাখার কথা বলছেন তিনি । সুব্রত দত্তের কথায়, "এমন পরিস্থিতি আগে কখনও আসেনি । তাই একে সামলানোর পরিকল্পনাও অন্যভাবে সাজাতে হবে ।" প্রেসিডেন্টের কথার রেশ ধরেই সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায় বলছেন লকডাউন উঠলে ক্লাবগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসবেন । দরকার হলে ফরম্যাট নিয়ে চিন্তাভাবনা হবে । তিন মাসের মধ্যে লিগ শেষ করার চেষ্টা হবে ।
সচিব ও চেয়ারম্যানের সুরে সুর মেলাচ্ছেন না IFA প্রেসিডেন্ট অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় । যদিও IFA-এর তরফে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন তিনি । IFA প্রেসিডেন্ট নিজে একটি ক্লাবের সঙ্গে জড়িত । তাঁর মতে, "লিগের ফরম্যাট বদলে ময়দানের ছোটো ক্লাবগুলোর কোনও লাভ হবে না । বরং বর্তমান অবস্থায় খরচ জোগাড় করতে তাদের বিপুল অর্থনৈতিক ক্ষতির সামনে পড়তে হবে । তাই অলিম্পিক যদি পিছিয়ে যেতে পারে, IPL যদি সুসময়ের অপেক্ষা করতে পারে তাহলে কলকাতা লিগ বন্ধ রাখলে ক্ষতি হবে না ।"
ইতিমধ্যে লিগ না হলে রেফারিরা আর্থিক সমস্যায় পড়বে বলে জানানো হয়েছে রেফারি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে । ময়দানের ক্যান্টিনওয়ালারা লকডাউনের ফলে আর্থিক ক্ষতির সামনে পড়তে হবে বলে আশঙ্কা করছেন । তাই লকডাউন ও তার আফটার-শক ঘিরে কলকাতা ময়দানে নতুন বিতর্কের সূত্রপাত ।