কোপেনহেগেন, 13 জুন : ম্যাচ চলাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন ডেনমার্কের ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ান এরিকসন ৷ যে কারণে মাঠেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন তিনি ৷ জানিয়েছেন ডেনমার্ক টিমের চিকিৎসক মার্টিন বোসেন ৷ সেই ভয়ঙ্কর মুহূর্তটি বর্ণনা করে বোসেন বলেছেন, আমরা জানি না এরিকসন মৃত্যুর কতটা কাছে ছিলেন ৷
শনিবার ইউরোর দ্বিতীয় দিনে ঘটে যায় একটি দুর্ঘটনা ৷ বল ধরতে গিয়ে মাঠের মধ্যেই লুটিয়ে পড়েন ডেনমার্কের ক্রিশ্চিয়ান এরিকসন ৷ প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার কিছুটা আগে ৷ প্রবল আতঙ্ক ঘিরে ধরেছিল ফুটবলারদের ৷ সতীর্থকে হারিয়ে ফেলার ভয়ে মাঠেই কাঁদতে শুরু করে দেয় ডেনমার্কের ফুটবলাররা ৷ গ্যালারিতে দর্শকরা উৎকণ্ঠায় উঠে পড়েন ৷ দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে খবর ৷ বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ফুটবলপ্রেমীরা, ফুটবল ব্যক্তিত্বরা এরিকসনের সুস্থতা কামনা শুরু করেন ৷
সেই মুহূর্তের বর্ণনা করে মার্টিন বোসেন বলেছেন, "ওর হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল ৷ আমরা মাঠেই কার্ডিয়াক রিসাকশন শুরু করেছিলাম ৷ জানি না মৃত্যুর কতটা কাছে ছিল ও ৷ প্রথম ডিফ্রেবিলেটরের পর ওকে আমরা ফিরে পাই ৷ সবকিছু খুব দ্রুত হয়েছিল ৷ আমি হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ নই ৷ তাই বাকিটা বিশেষজ্ঞদের উপর ছেড়ে দিচ্ছি ৷ তবে ওর হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল ৷" এরিকসনকে মাঠে সিপিআর দেওয়ার দৃশ্য টিভির ক্যামেরায় ধরা পড়ে ৷ এতেই সকলে ভয় পেয়ে গিয়েছিল ৷
এরিকসনের জন্য প্রার্থনা করছে গোটা ফুটবল বিশ্ব আরও পড়ুন : EURO 2020 : "ক্রিস ক্রিস...তোমাকে ভালবাসি", এরিকসনকে গোল উৎসর্গ লুকাকুর
মাঠ থেকে বেরোনোর আগে অবশ্য এরিকসনের জ্ঞান ফিরে আসে ৷ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর অবশ্য ভালো খবর আসে ৷ উয়েফার তরফে জানানো হয়, এরিকসন অনেকটাই সুস্থ রয়েছেন ৷ তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল ৷ আজ সকালে ডেনমার্ক ফুটবল ফেডারেশন জানিয়েছে, "কথা বলেছেন এরিকসন ৷ সতীর্থদের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর ৷ বেশ কিছু টেস্ট করা বাকি ৷ সেজন্য এরিকসনের হাসপাতালে থাকাটা প্রয়োজন ৷"