পার্কেন (ডেনমার্ক), 18 জুন : পার্কেন স্টেডিয়ামে খেলতে নেমেছে ডেনমার্ক ৷ কিন্তু চেনা সেই ডেনমার্ক দলে নেই তিনি ৷ পার্কেন স্টেডিয়ামের কয়েকশো গজ দূরে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনের এক হাসপাতালে শুয়ে তখন এরিকসন ৷ খেলা শেষে বেলজিয়ামের কাছে ম্যাচ হেরে এ-বছরের মতো কার্যত ইউরোর স্বপ্ন শেষ হয়ে গিয়েছে ডেনমার্কের ৷ তবুও যেন ইউরো 2020 মানেই মনে থাকবে ক্রিশ্চিয়ান এরিকসন ৷ ইউরো 2020 মানেই ডেনমার্ক ৷
ফিনল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ চলাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাঠেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন এরিকসন ৷ প্রায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন ৷ সতীর্থকে হারিয়ে ফেলার ভয়ে মাঠেই কাঁদতে শুরু করে দেন ডেনমার্কের ফুটবলাররা ৷ উৎকণ্ঠায় ছিলেন গ্যালারিতে থাকা দর্শকরাও ৷ বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ফুটবলপ্রেমী থেকে ফুটবল ব্যক্তিত্ব সকলে এরিকসনের সুস্থতা কামনা শুরু করেন ৷ সেই আতঙ্ক কাটিয়ে আবার বৃহস্পতিবার পার্কেন স্টেডিয়ামে খেলতে নামে ডেনমার্ক ৷ খেলা শুরুর আগে এরিকসনের সুস্থতা কামনার জন্য দর্শকরা যা করলেন, তা দেখে হাসপাতালে থেকে খুশিই হবেন তিনি ৷ এরিকশনের সমর্থনে পার্কেনের সমস্ত গ্যালারি এক সঙ্গে গেয়ে ওঠে 'তুমি কখনও একা হাঁটবে না' ('ইউ উইল নেভার ওয়াক এলোন') ৷
এদিন অধিকাংশ দর্শকই এরিকসনের জার্সি গায়ে দিয়েই মাঠে আসেন ৷ হাতে হোর্ডিং ৷ সকলের একটাই প্রার্থনা, ভাল হয়ে ওঠুক ক্রিশ ৷ খেলা শুরুর আগে ডেনমার্কের অধিনায়ক সাইমন কেজার এরিকসনের নামাঙ্কিত ফ্রেম বন্দি একটি জার্সি নিয়ে আসেন মাঠে ৷ জার্সিতে দ্রুত আরোগ্য কামনা করে, সকল খেলোয়াড়ের স্বাক্ষর রয়েছে ৷ মাঠে আনা হয় এরিকসনের নামাঙ্কিত একটি বিশাল জার্সি ৷