লন্ডন, 13 জুলাই : ইংল্যান্ড কি 2030 ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের যোগ্য? এমনই প্রশ্ন তুললেন প্রাক্তন ব্রিটিশ ক্রিকেটার কেভিন পিটারসন ৷ ইউরো 2020 ফাইনালে হারের পর তিন কৃষ্ণাঙ্গ ফুটবলারকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বর্ণবিদ্বেষ মূলক মন্তব্য করা হয় ৷ তারই প্রতিবাদে সরব হলেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন এই ব্যাটসম্যান ৷
একই ইস্যুতে আগেই সরব হয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ৷ এরপর তাঁদের সঙ্গে যোগ দিলেন কেভিন পিটারসন ৷ ইতালির বিরুদ্ধে ইউরোর ফাইনালে ট্রাই ব্রেকারে এই তিন কৃষ্ণাঙ্গ ফুটবলার গোল করতে ব্যর্থ হন ৷
টুইটে পিটারসন লেখেন, ‘‘ গতরাতে ডিলানের সঙ্গে আমি আমার গাড়িটি আনতে গিয়েছিলাম ৷ এবং এটা অত্যন্ত বিপজ্জনক ৷ 2021 -এ এইরকম ব্যবহার ? যে ফুটবলাররা আমাদের এত আনন্দ দেয় তাঁদের হেনস্থার শিকার হতে হয় ? আমরা কি সত্যিই 2030 বিশ্বকাপের জন্য তৈরি ?’’
আগেই বর্ণবিদ্বেষের প্রতিবাদে ব্রিটিশ প্রধনমন্ত্রী বরিস জনসন লেখেন, ‘‘ ফুটবলারদের হিরোর মতো বরণ করা উচিত ৷ তাঁদের উদ্দেশ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় বর্ণবিদ্বেষ মন্তব্য করা উচিত নয় ৷ যাঁর এই সবের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের লজ্জা পাওয়া দরকার ৷’’
ইউরোপের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন খেলোয়াড়দের উপর বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্যের নিন্দা করেছে ৷ তাঁরা একটি বিষয়ের উপর আলোকপাত করেছে ৷ এই বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে প্রতিটি ম্যাচেই বার্তা দিয়েছেন ইংলিশ ফুটবলাররা ৷ প্রতিটি ম্যাচের আগে হাঁটু গেড়ে বসে বর্ণবিদ্বেষের প্রতিবাদ জানিয়েছে ব্রিটিশ ফুটবলাররা ৷ অথচ তাঁদেরই বর্ণবিদ্বেষের শিকার হতে হল ৷
আরও পড়ুন : Euro 2020 : 53 বছর পর ট্রফি পুনরুদ্ধার, আনন্দে আত্মহারা আজ্জুরিরা
পেনাল্টি শুট আউটে ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেন ও হ্যারি মাগুইরে গোল করেন ৷ কিন্তু বাকি তিনটি শট নেন হ্যারি কেনের তিন কৃষ্ণাঙ্গ সতীর্থ মার্কাস রাশফোর্ড, জর্ডন স্যাঞ্চো ও সাকা ৷ রাশফোর্ড বারের উপর দিয়ে বল মারেন ৷ বাকি দুই ফুটবলারের শট আটকে দেন ইতালি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডোন্নারুমা ৷ তারপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই তিন ফুটবলারের উপর বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য করা হয় ৷