হাওড়া, 12 জুন : সালকিয়ার পাড়ার মাঠ থেকে বায়ার্ন এফসি-র পথ ৷ গলি থেকে রাজপথে উত্তরণে শুভ পালের আশ্রয় ফুটবলে । হাওড়ার সালকিয়ার গলি তস্য গলির ভেতরের নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলেটির ফুটবল নৈপুণ্য এই শহর, রাজ্য, দেশ ছাড়িয়ে ফুটবলের উচ্চবিত্তদের দেশে পা রাখবে সেটা বোধ হয় কেউ ভাবেননি ।
বাবা গেঞ্জি কারখানার শ্রমিক । দারিদ্র পাল পরিবারের নিত্যসঙ্গী । ফুটবল পাগল শুভ একটা নতুন বুট কেনার স্বপ্ন দেখতে সাহস করেননি । কিন্তু প্রতিভার সামনে প্রতিবন্ধকতা চিরকালই পরাজিতের দলে । পাঁচ বছর আগে 2016 সালে বেঙ্গালুরু এফসির অনূর্ধ্ব-13 দলে ডাক পড়ে । কিন্তু অজ্ঞাত কারণে যোগ দেওয়া হয়নি । পরের বছর ইস্টবেঙ্গল এবং দিল্লির সুদেভা এফসিতে সুযোগ পান শুভ ।
লাল-হলুদ জার্সির থেকে সেবার দিল্লির দলকেই বেছে নিয়েছিলেন তিনি । নিজেকে সেখানে পরিশীলিত করেন ৷ যার সুফল মিলেছে হাতেনাতে ৷ এর জন্য চিমা (চিমা ওকোরি) স্যারের কাছে কৃতজ্ঞ শুভ । আই লিগে মাত্র 16 বছর বয়সে সুদেভা এফসিকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন শুভ পাল ৷ কিন্তু এবার তাঁর যাত্রাটা দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের ক্লাবে ৷ গোটা বিশ্বজুড়ে তরুণ ফুটবলারদের খোঁজে স্কাউটিং শুরু করেছিল এফসি বায়ার্ন মিউনিখ ৷
64টি দেশ থেকে 654 জন ফুটবলারের ট্রায়াল নেয় জার্মানির ক্লাবটি । প্রচুর ভিডিয়ো জমা পড়ে । সেগুলি থেকে 15 জনকে বেছে নেওয়া হয় । সেই তালিকায় রয়েছেন হাওড়ার সালকিয়ার শুভ পাল । খুব তাড়াতাড়ি অলিভার কান, ফ্রেঞ্জ বেকেনবাওয়ারদের মতো কিংবদন্তিদের খেলে যাওয়া বায়ার্নের আবাসিক শিবিরে যোগ দেবেন শুভ ৷ শুভর সাফল্যে বেজায় খুশি তাঁর কোচ তপন কর্মকার ।