কলকাতা, 15 অক্টোবর : ভারতীয় সমর্থকদের হৃদয় ভাঙার হুমকি দিয়ে রাখলেন জামাল ভুইয়া। কোচ জেমি ডে-কে পাশে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এসেছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। ভারতের বিরুদ্ধে প্রাক বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে নামবে পদ্মাপাড়ের দেশ। সাম্প্রতিক অতীতে ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ার পরিসংখ্যান 2003 সালে । মাঝের সময়ে দুই দেশের ফুটবল যুদ্ধে বাংলাদেশ আশা জাগিয়ে শুরু করলেও ভারতের ক্ষেত্রে মধুসূদন দাদা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন সুনীল ছেত্রী।
ভারতীয় সমর্থকদের হৃদয় ভাঙার শপথ বাংলাদেশের
জামাল ভুইয়া বলেন, "আমি ভারতীয় সমর্থকদের হৃদয় ভাঙতে মাঠে নামব। আমরা চাপে নেই। যাবতীয় চাপ ভারতের। যদি ভারত জিততে না পারে তাহলে সমর্থকদের রোষের মুখে পড়বে ভারত। আমি ছেলেদের সেরাটা দিতে বলেছি। তবে ভারত ফেভারিট হিসেবে শুরু করবে ।"
মঙ্গলবারের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে সুনীল ছেত্রীকে নিয়ে বার বার প্রশ্নবাণের মুখ পড়ে শেষ পর্যন্ত খোলস ছাড়লেন জামাল। প্রতিপক্ষ অধিনায়কের গোল করার ক্ষমতা সম্পর্কে সম্মানজনক মনোভাব দেখালেও খোলসে ঢুকে থাকতে নারাজ জেমি ডে-র ছেলেরা। জামাল বলেন, "আমি ভারতীয় সমর্থকদের হৃদয় ভাঙতে মাঠে নামব। আমরা চাপে নেই। যাবতীয় চাপ ভারতের। যদি ভারত জিততে না পারে তাহলে সমর্থকদের রোষের মুখে পড়বে ভারত। আমি ছেলেদের সেরাটা দিতে বলেছি। তবে ভারত ফেভারিট হিসেবে শুরু করবে ।"
ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীর বিরুদ্ধে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে জামালের । সেই অভিজ্ঞতার নিরিখে ডেনমার্কে ফুটবল প্রশিক্ষিত বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, "আমি ছেত্রীর বিরুদ্ধে 2013 ও 2014 সালে খেলেছিলাম। সত্যিই ভালো স্ট্রাইকার। কিন্তু সুনীল ছাড়াও ভারতীয় দলে কয়েকজন ফুটবলার রয়েছে।" কাতারের বিরুদ্ধে ভালো খেলা থেকে পাওয়া আত্মবিশ্বাস নিয়ে দুই দল আজ যুবভারতীতে নামছে। সুযোগ নষ্টের খেসারত দিয়ে জয় মাঠে ফেলে এসেছিল বলে দাবি বাংলাদেশের। কাতার ম্যাচ জেতা উচিত ছিল বলছেন ভারতীয় দলের গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিং । কথার লড়াই সরিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক মানছেন মাঝমাঠ দখলেই লুকিয়ে জয়ের রহস্য। তাই দুই দেশের ফুটবল ইতিহাস মাথায় রেখে সেরাটা নিংড়ে দেওয়ার কথা বলেছেন জামাল।
অধিনায়কের সুর কোচ জেমি ডে-র গলাতেও। তিনি জানিয়েছেন, দর্শক ভরা স্টেডিয়ামে তাঁর দলের ছেলেরা জানে ঠিক কী করতে হবে । তাই আন্ডারডগ হলেও পাশা বদলের জন্য তৈরি বাংলাদেশ।