কলকাতা, 8 ডিসেম্বর: গোল করার সময় রয় কৃষ্ণ অফসাইড ছিলেন। অভিযোগ জামশেদপুর এফসির কোচ ওয়েন কোয়েইলের। জয়ের হ্যাটট্রিকের পর জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে দুই গোলে পরাজয় এটিকে-মোহনবাগানের। চেনা ছন্দে দেখা যায়নি সবুজ মেরুন ফুটবলারদের। সেটপিস থেকে গোল হওয়ার সময় তিরি,সন্দেশ ঝিঙ্গানদের বোঝাপড়ার অভাব দেখা গিয়েছে। তবে ডিফেন্সের ভুলের খেসারতের চেয়ে আলোচনায় অফসাইড থেকে রয় কৃষ্ণের গোল।
"গোল করার সময় রয় কৃষ্ণ অফসাইডে ছিল তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে আমরা এর আগে একাধিকবার রেফারির সিদ্ধান্তের শিকার হয়েছি। এবার অন্তত রেফারির সিদ্ধান্তের ফলে জয় হাতছাড়া হয়নি। সেটা দেখে ভালো লাগছে ।" বলছেন ভালকিসদের হেডস্যার।
প্রথম হারের পর মোহনবাগানের প্রবীর দাস বলেন, যে কোনও প্রতিযোগিতায় জয় পরাজয় থাকে । পারফরম্যান্সের উত্থান-পতন থাকে। একটা ম্যাচে খারাপ খেলা মানে সবকিছু শেষ হয়ে যাওয়া নয় । তাই তাঁর আশা সমর্থকদের আশা পূরণ করতে পারবেন। সমর্থকরাও দলের পাশ থেকে সরে যাবে না। প্রথম হারের পরে প্রশ্ন উঠছে। রক্ষণের বোঝাপড়ার অভাব নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। সেটপিস থেকে গোল হওয়ার সময় ভিলকিস আনমার্কড ছিলেন। সন্দেশ ঝিঙ্গানকে তাঁর পরিচিত ছন্দে পাওয়া যায়নি। যদিও হাবাস দলের রক্ষণভাগের ছন্দহীনতা মানতে নারাজ । "আমাদের ডিফেন্সের গলদ ছিল বলে মনে হয় না । দুটো গোল হয়েছে সেটপিস থেকে।এই প্রথম সেটপিস থেকে গোল হজম করলাম । এটা দুর্ঘটনা হিসেবেই দেখছি । প্রতিপক্ষ দলের দীর্ঘদেহী খেলোয়াড়ের সংখ্যা বেশি হওয়াতে বিপত্তি, এটা একটা কারণ হতে পারে" । গোল হজমের ময়নাতদন্ত সবুজ মেরুন হেডস্যারের।
আরও পড়ুন :শিলিগুড়িতে মৃত বিজেপির কর্মীর ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ
সেটপিস থেকে গোল হজম করা নিয়ে তারা যে চিন্তিত নন সেটাও উঠে এসেছে সবুজ মেরুন কোচের কথায়। উদাহরণ হিসেবে গতমরসুমের পরিসংখ্যানের কথা বলেছেন তিনি।"গতবছর আমরা কর্নার থেকে একটা গোল খেয়েছিলাম।এবার দুটো গোল।তাই মনে করি না সেটপিস আটকানোর ব্যাপারে আমাদের খামতি রয়েছে।যেটুকু ভুল রয়েছে তা অনুশীলনে ঠিক করে নেব।প্রতিপক্ষ দলে ভালো ফুটবলার রয়েছে তা ভুললে চলবে না," মন্তব্য এটিকে-মোহনবাগানের স্প্যানিশ কোচের। এদিকে চোটের ধাক্কা কাটছে না গতবছরের চ্যাম্পিয়ন দলের। এডু গার্সিয়া মাঠে ফিরলেও চোটের তালিকায় উঠেছে জাভি হার্নান্দেজের। চোট সারেনি ডেভিড উইলিয়ামসের। তবে একটা ম্যাচ হেরে দুনিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে তা মানতে চান না হাবাস।