কলকাতা, 6 অগাস্ট : মোহনবাগানের বিরুদ্ধে জোড়া গোল করে জয়ের নায়ক তিনি । তবুও মন ভালো নেই আনসুয়ামা ক্রোমার । শুধু নিজের দলের থেকে অভিনন্দন পাননি, প্রতিপক্ষ দলের সমর্থকরাও ক্রোমার নামে জয়ধ্বনি দিচ্ছেন । প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের জন্য শ্রদ্ধার মনোভাব কলকাতা ময়দানে শেষ কবে দেখা গেছে তা মনে করা যাচ্ছে না ৷ আবার তেমনই মনে করা যাচ্ছে না, মোহনবাগান শেষ কবে কলকাতা লিগের প্রথম ম্যাচ তিন গোলে হেরেছে ।
ম্যাচ পরবর্তী সাংবাদিক বৈঠকে ক্রোমা বলেন, "একজন পেশাদার ফুটবলার হিসেবে গোল করা আমার কাজ । তাই গোল করেছি । তবে মোহনবাগান ভালো দল । সবুজ-মেরুনকে ভালোবাসি । তাই এভাবে প্রিয় দলের পরাজয়ে দুঃখ পেয়েছি । মোহনবাগান সদস্য সমর্থকদের ভালোবাসা পেয়ে অভিভূত ।" তাই মাঠ ছাড়ার সময় ক্রোমার গলায় জয় মোহনবাগান ধ্বনি ।
এই সংক্রান্ত আরও খবর :ক্রোমার জোড়া গোল, মোহনবাগানকে হারাল পিয়ারলেস
গতকাল জোড়া গোল করে ক্রোমা ম্যাচের নায়ক হলেও নজর কেড়েছেন পুরুলিয়ার ছেলে লক্ষ্মী মান্ডিও ৷ SAI থেকে উঠে এসেছেন ৷ বাবা চাষাবাদ করেন । বাড়ি ফিরে বাবাকে চাষের কাজে সাহায্য করেন লক্ষ্মী । শিয়ালদা বৈঠকখানা বাজারে ছোটো ঘরই তাঁর বর্তমান আস্তানা । চার বছর ধরে পিয়ারলেসের হয়ে খেলছেন । প্রথম বছর 14টি গোল করে নজর কাড়লেও হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের জন্য ছিটকে যেতে হয়েছিল ৷ মোহনবাগানের বিরুদ্ধে গোল যেন লক্ষ্মীর ফিরে আসার লড়াই ৷
মোহনবাগানের প্রাক্তন কোচ জহর দাস চলতি মরশুমে পিয়ারলেসের দায়িত্বে । দলে রয়েছেন একাধিক মোহনবাগান প্রাক্তনী । সঙ্গে ক্রোমা ও আন্টনি উলফের মতো ময়দানের চেনা বিদেশিরা । মোহনবাগানকে হারিয়ে খুশি কোচও । প্রাক্তন দলের ব্যর্থতার বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তাঁর মনে হয়েছে, একজন প্লে মেকারের অনুপস্থিতি কিবু ভিকুনাকে ভোগাচ্ছে । রোগের প্রতিষেধক খুঁজে না পেলে শুধু পিয়ারলেস নয়, অন্য দলের বিরুদ্ধেও মোহনবাগানকে ভুগতে হবে ৷ গত বছর লিগ রানার্স হয়েছিল পিয়ারলেস । চলতি বছরও লক্ষ্য, লিগ টেবিলের উপরে শেষ করা ৷