নয়াদিল্লি, 22 অগস্ট : ভারতীয় ফুটবলে ‘দ্রোণাচার্য’ সৈয়দ শাহিদ হাকিম (Syed Shahid Hakim)-এর কর্নাটকের গুলবারগার এক হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ৷ মৃত্যকালে তাঁর বয়স হয়েছিল 82 বছর ৷ তিনি ভারতীয় ফুটবলে ‘হাকিম সাহব’ নামে পরিচিত ছিলেন ৷ সম্প্রতি তিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হন ৷ তার পর থেকেই গুলবারগার এক হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি ৷
দ্রোণাচার্য সম্মানে ভূষিত সৈয়দ শাহিদ হাকিম পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতীয় ফুটবলের সেবায় নিজেকে নিযুক্ত করেছিলেন ৷ 1982 সালে দিল্লিতে আয়োজিত এশিয়ান গেমসে প্রয়াত কিংবদন্তী ফুটবলার তথা জাতীয় দলের কোচ পি কে বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহকারী হিসেবে কাজ করেছিলেন হাকিম ৷ এমনকি এককভাবেও মেরডেকায় ভারতীয় ফুটবল দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি ৷ 1988 সালে ডুরান্ড কাপ জয়ী তৎকালীন মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা ফুটবল ক্লাব, বর্তমানের মাহিন্দ্রা ইউনাইটেড দলের কোচ ছিলেন তিনি ৷ ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে সেবার ডুরান্ড কাপ জিতেছিল মাহিন্দ্র অ্যান্ড মাহিন্দ্রা ৷
এছাড়াও, সালগাওকার দলের কোচের দায়িত্ব সামলেছেন সৈয়দ শাহিদ হাকিম ৷ তাঁর কোচিং জীবনের শেষ ক্লাব ছিল মহারাষ্ট্রের বেঙ্গল মুম্বই এফসি ৷ 2004 সাল থেকে 2005 সাল এক বছরের জন্য তিনি ওই ক্লাবের কোচের দায়িত্বে ছিলেন ৷ ফুটবলার বা কোচ হিসেবে শুধু নন ৷ তিনি ফিফার ইন্টারন্যাশনাল রেফারি ব্যাজ হোল্ডার ছিলেন ৷ এশিয়া কাপ টুর্নামেন্টে তিনি রেফারিং করেছিলেন ৷ ভারতীয় ফুটবলে অবদানের জন্য তাঁকে আজীবন সম্মান অর্থাৎ, মেজর ধ্যানচাঁদ সম্মান প্রদান করে ভারত সরকার ৷
আরও পড়ুন : AFC Cup : জয়ের রাস্তা গড়লেন হুগো বুমোস, নক আউটে প্রায় নিশ্চিত এটিকে মোহনবাগান
তবে, ফুটবলার, কোচ, রেফারি ছাড়াও সৈয়দ শাহিদ হাকিমের আরও একটি পরিচয় ছিল ৷ তিনি ভারতীয় বায়ুসেনার প্রাক্তন স্কোয়াড্রন লিডার ছিলেন ৷ তিনি স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর পদের দায়িত্বও পালন করেছেন ৷ আর সেই পদে থেকে তাঁর শেষ এবং সবচেয়ে বড় কাজ ছিল ভারতে আয়োজিত ফিফা অনুর্ধ্ব-19 বিশ্বকাপের প্রজেক্ট ডিরেক্টর হিসেবে স্কাউটিং-এর কাজ পরিচালনা করা ৷